পুনর্নির্বাচনের দিন দলবদল করে কংগ্রেস প্রার্থী গিয়েছিলেন তৃণমূলে। কোলাঘাট ব্লকের দক্ষিণ সাগরবাড়ের সেই কংগ্রেস প্রার্থী রোশন আলি নিজে হেরে গিয়েছেন। তবে সাগরবাড় গ্রাম পঞ্চায়েতে শেষ হাসি হেসেছে কংগ্রেসই।
নন্দীগ্রামের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে সামগ্রিক ভাবে তৃণমূলের জয়জয়কার। তারই মাঝে অন্য ছবি এই সাগরবাড়ে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কোলাঘাট কেটিপিপি স্কুলে গণনা কেন্দ্রের বাইরেও ছিল টানটান উত্তেজনা। দুপুর নাগাদ ফল বেরোতেই স্পষ্ট হয়ে যায় রোশনকে দলে টেনেও লাভ করতে পারেনি তৃণমূল। সাগরবাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪টি আসনের মধ্যে ৮টিতে জিতেছে কংগ্রেস-সিপিএম জোট। আর তৃণমূলের ঝুলিতে ৬টি আসন।
গত সোমবার ভোট চলাকালীন দক্ষিণ সাগরবাড়ে সন্ত্রাসের চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বন্ধ হয়ে যায় ভোটগ্রহণ। সিদ্ধান্ত হয় পুনর্নির্বাচনের। বুধবার ফের ভোটের সময়ই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের কথা জানান ওই গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে হাত চিহ্নের প্রার্থী রোশন। সে দিন তাঁর মুখে ছিল ‘উন্নয়নে’র কথা। এ দিন বহু চেষ্টা করেও রোশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। ফোন ধরেননি তিনি, জবাব দেননি মেসেজের। তবে ওই দলবদল ভোটে প্রভাব ফেলবে না বলে বুধবারেই জানিয়েছিলেন সাগরবাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের বিদায়ী প্রধান সুরজিৎ মাইতি। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘কে গেল, সেটা নিয়ে মানুষ চিন্তিত নন। ওঁরা আমাদের পাশে রয়েছেন।’’ কংগ্রেস প্রার্থীকে দলে টেনেও জয় না মেলায় ‘হতাশ’ তৃণমূল। সাগরবাড়ে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি তরুণ ঘোড়ই বলেন, ‘‘ওখানে জয় নিয়ে আমরা আশাবাদী ছিলাম। কেন এমন হল আমরা পর্যালোচনা করব।’’
সাগরবাড়ের মানুষ অবশ্য বুঝিয়ে দিচ্ছেন, ভোটের দিন সন্ত্রাস তাঁরা মেনে নিতে পারেননি। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘নির্বাচনে বহিরাগতদের হামলার কথা ভুলিনি। একজনকে দিয়ে দলবদল করা সহজ, কিন্তু মানুষের মন যে সহজে বদলায় না!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy