তাঁদের দিন ও রাত কাটে গারদের আড়ালে। জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় আলো দেখাবেন সেই বন্দিরাই। পঞ্চায়েতে ভোটে জ্বলবে তাঁদের তৈরি মোমবাতি। বুথে বুথে সেই মোমবাতি সরবরাহের বরাত পেয়েছে রাজ্যের কারা দফতর।
৫৮,৪৬৭টি বুথ হচ্ছে পঞ্চায়েত ভোটে। সেই সব বুথে প্রয়োজনীয় মোমবাতি চেয়ে কারা দফতরকে চিঠি লিখেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তার পরে কারা দফতরের থেকে বিভিন্ন জেল বা সংশোধনাগারে মোমবাতির তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূলত দমদম, আলিপুর, আলিপুর মহিলা এবং প্রেসিডেন্সির মতো কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে সেই কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে।
এক সময়ে বুথে বুথে প্রচুর মোমবাতির প্রয়োজন হত। এখন তত লাগে না। কারণ, যে-সব কেন্দ্রে বুথ হয়, সেখানে বিদ্যুৎ রয়েছে। তাই এখন বুথ-পিছু চার-পাঁচটি মোমবাতি বরাদ্দ করেছে কমিশন। সেই হিসেবে পঞ্চায়েত ভোটে প্রায় তিন লক্ষ মোমবাতি প্রয়োজন। সেগুলোই তৈরি করছেন কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের বন্দিরা। ‘‘কমিশনের চাহিদা মেটাকে চারটি সংশোধনাগারে মোমবাতি তৈরি করা হচ্ছে,’’ বললেন কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। এক কারা আধিকারিক জানান, মোমবাতির প্রায় ৩০ হাজার প্যাকেট দেওয়া হবে কমিশনকে। প্রতিটি প্যাকেটে ১২টি মোমবাতি থাকে। ২০-২২ এপ্রিলের মধ্যে বন্দিদের তৈরি মোমবাতি পাঠিয়ে দেওয়া হবে কমিশনের কাছে।
এই ধরনের পরিকল্পনা কেন?
কমিশনের এক কর্তা জানান, কারা দফতরের কাছ থেকে মোমবাতি নিলে বাজারদরের থেকে প্রায় ৪০ শতাংশ কম টাকা লাগবে। সেই জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী খরচে অল্প হলেও সাশ্রয় হবে।