কলকাতা হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে ভোট দাবি করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ। ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিয়োগ কমিশনারের হাতে রেখে কলকাতা হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে পঞ্চায়েত ভোটের দাবি তুললেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ। পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগের দাবি উঠেছে বহু বারই। কিন্তু রাহুলবাবু রবিবার বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী এলেও সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করি না। কারণ, ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল। তাদের ব্যারাকে বসিয়ে রেখে এবং হাজারদুয়ারি ঘুরিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের হাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগের ভার যত ক্ষণ না দেওয়া হচ্ছে, তত ক্ষণ একই ঘটনা ঘটবে।’’ বিজেপি নেতার দাবি, আদালতের নির্দেশে কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগের দায়িত্ব পেলে তবেই সমস্যার সমাধান হতে পারে। আর আদালতের তত্ত্বাবধানে ভোট হলে ‘দুর্বল’ কমিশনারও বল-ভরসা পাবেন।
কলকাতা প্রেস ক্লাবে এ দিন পঞ্চায়েত ভোট বিষয়ে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে নির্বাচনের দাবি তোলার পাশাপাশিই রাহুলবাবু অভিযোগ করেছেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে শাসক দলের তরফে গুরুতর কিছু ‘হুমকি’ দেওয়া হয়েছে। যদিও ওই দাবির পক্ষে কোনও প্রমাণ রাহুলবাবু দেননি। বরং প্রশ্নের জবাবে নিজেই মেনে নিয়েছেন, তিনি কোনও সূত্রে এমন কথা শুনেছেন। যার প্রেক্ষিতে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় পাল্টা অভিযোগ করেছেন, ‘‘সহানুভূতির কৌশল নিয়ে বিজেপি কমিশনের উপরে চাপ সৃষ্টি করছে।’’
এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলেও কমিশনার অমরেন্দ্র মন্তব্য করতে চাননি। তবে কমিশন সূত্রের বক্তব্য, কমিশনারকে হুমকি সংক্রান্ত রাহুলবাবুর ওই সব দাবি নিয়ে কেউ অভিযোগ জমা দিলে তা খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর রাহুলবাবুর দাবি, কমিশনারের উচিত, আদালতে গোপন জবানবন্দি দেওয়া। তা হলেই সব সত্য জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে!
পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব কমিশনের। রাহুলবাবু এ দিন পাল্টা বলেন, ‘‘আমি প্রশ্ন করছি, কমিশনারকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব কার? তিনি তো প্রতি পদে হুমকির সামনে মাথা নত করছেন!’’
রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার কমিশনকে জানিয়েছিলেন, এক দিনে ভোটে তাঁদের আপত্তি নেই। কিন্তু রাহুলবাবু এ দিন জানান, তাঁরা চান ১৪ মে-র ভোট বাতিল করে আরও এক দিন মনোনয়ন জমা নেওয়া হোক অনলাইনে। রাহুলবাবুর ব্যাখ্যা, ‘‘১৪ মে ভোট হবে ধরে নিয়েই আমরা প্রচার করছি। কিন্তু ৩৪% আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শাসক দল জিতে যাওয়ার পরেও অনলাইনে মনোনয়ন জমার ব্যবস্থা না হলে অন্যায়ের একটা দৃষ্টান্ত থেকে যাবে। ভবিষ্যতে যারা শাসক হবে, তারা এই রেকর্ড ভেঙে আরও এগিয়ে যাবে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy