বার্তা: দিনহাটায় সুব্রত বক্সী। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
অসন্তোষ দূরে রেখে, গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের প্রার্থীদের জয়ী করতে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানালেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি।
রবিবার দুপুরে দিনহাটার আটিয়াবাড়িতে প্রকাশ্য জনসভায় যোগ দেন সুব্রতবাবু। সেখানে সুব্রতবাবু বলেন, “সব সময় সবাইকে সন্তুষ্ট করতে করা যায় না। সবাইকে মূল্যায়ন করা যায় না। ভারতবর্ষের কোনও রাজনৈতিক দল পারেনি। অনেক সময়ই অনেক খামতি থেকে যায়। রাজ্য থেকে জেলা এবং স্থানীয় স্তরেও খামতি থাকতে পারে। কেউ যদি ভাবেন, আমি একটু পিছিয়ে গিয়েছে, সবাইকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে তাকিয়েই সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। যিনি এটা তিনি পারবেন তিনিই প্রকৃত রাজনৈতিক কর্মী।” সেই সঙ্গে তিনি বিক্ষুব্ধদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “কোথাও যদি কেউ লাঞ্চিত হন, বঞ্চিত হন তাহলে দল নিশ্চিত ভাবে ব্যবস্থা নেবে। আর কেউ যদি মনে করেন দলের প্রতি বিপ্লব করলাম। মানুষের ঠোক্কর খেয়ে তিন মাস পরে ফিরে এসে বলব আমার ভুল হয়েছে। আমি দল করতে চাই। সেদিন কিন্তু প্রশ্ন চিহ্ন থেকে যাবে, দল আপনাকে কতটা গ্রহণ করবে।’’
এ দিন দুপুর ২ টা নাগাদ সভা হওয়ার কথা ছিল। সেখানে ৩ তা নাগাদ সভা শুরু হয়। সুব্রতবাবু জনসভায় পৌঁছনোর পরেও মাঠে তেমন লোক ছিল না। সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া প্রথমে বক্তব্য দিতে উঠে বলেন, “দুষ্কৃতীদের ভয়ে অনেক তৃণমূল কর্মী সভায় আসতে পারেননি।” তার পরে দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ বক্তব্যের মাধ্যমেই অভিযোগ করেন, দিনহাটা ২ নম্বর ব্লক ও সিতাই ব্লকের প্রায় সব জায়গায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলীয় প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন, সেখানে দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকে ২২০টি আসনের মধ্যে ২০০টি আসনে নির্দলের সঙ্গে লড়াই হচ্ছে তৃণমূল প্রার্থীদের। তিনি বলেন, “তৃণমূলের দু’টি চিহ্ন আমরা চিনি এক মমতা আরেক জোড়াফুল। সবাই জোড়া ফুলে ভোট দেবেন। আম, জাম, কাঁঠালে ভোট দেবেন না।” ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন যুব তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। তিনি অবশ্য জোড়া ফুলে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে প্রথম দিকেই বেরিয়ে যান। জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ থাকলেও কোনও বক্তব্য রাখেননি।
যুব তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক নিশীথ প্রামাণিক বলেন, “রাজ্য সভাপতির বার্তা মেনে সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে কাজ করব। আগামী দিনে দল ও সংগঠনকে শক্তিশালী করতে ওই বার্তা সবার মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হবে।” এ দিন কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের চান্দামারি ও কোচবিহার উত্তরের খাগরাবাড়িতেও সভা করেন সুব্রতবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy