রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না সুপ্রিম কোর্ট।
দলের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারছেন না, এই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য বিজেপি। তাদের আবেদন ছিল, আজ শেষ হওয়া মনোনয়ন পেশের সময়সীমা বাড়াতে হবে, অনলাইনে মনোনয়ন পেশের সুবিধা দিতে হবে, প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে হবে ও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে হবে। চারটি আবেদনই এক ধাক্কায় খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আর কে অগ্রবাল ও অভয়মোহন সাপ্রের বেঞ্চ। আজ আট পাতার রায়ে সর্বোচ্চ আদালত জানায়, পঞ্চায়েত ভোটে তারা কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। তবে প্রার্থীরা যে কোনও প্রয়োজনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে পারে।
রায় আসতেই আদালত থেকে বেরিয়ে তৃণমূলের আইনজীবী নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁকে জানান, রাজ্য সরকারেরই জয় হয়েছে। পরে কল্যাণ বলেন, ‘‘আজকের রায় প্রমাণ করল, রাজ্য প্রশাসন ঠিক পথেই চলছে।’’
দাবির সপক্ষে বাংলার বিজেপি নেতারা আজ দিল্লির রাজঘাটে ধর্না দেন। আদালতে মুকুল রোহতগির মতো ওজনদার আইনজীবীকে দিয়ে সওয়ালও করানো হয়। নরেন্দ্র মোদীর সরকারের পক্ষ থেকেও অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটাকে দিয়ে আদালতে জানানো হয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন চাইলে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও নিরাপত্তা দিতে কেন্দ্র প্রস্তুত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সর্বোচ্চ আদালতে তাদের কোনও সওয়ালই টিকল না।
আরও পড়ুন: দিনভর মারধর, বাধা অব্যাহত মনোনয়নে
রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য বলেন, ‘‘আমরা জানি, এরকম পরিস্থিতি হতে পারে। তাই প্রথম থেকেই নিজেদের সাংগঠনিক শক্তির জোরে মনোনয়ন পেশ করছি। কিন্তু বহু জেলায় যেখানে তৃণমূলের ‘দাবাং’ নেতারা ঠিক করেছেন বিরোধীদের মনোনয়ন পেশ করতে দেবেন না, সেখানে কিছু করা যাচ্ছে না।’’
যদিও বিজেপির একাংশ বলছে, আবেদন খারিজ হয়ে গেলেও আদালত পশ্চিমবঙ্গে হিংসার কথা মেনে নিয়েছে। পঞ্চায়েত ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে যাবতীয় আশঙ্কা দূর করতে বলেছে। যাতে ভোটে লড়তে কাউকে বঞ্চিত করা না হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy