Advertisement
০৮ মে ২০২৪

আঁধারে আক্রান্ত তৃণমূল নেতা

কালিয়াগঞ্জের তরঙ্গপুর বাজারে নিজের তেলকলের অফিসে দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ। অভিযোগ, সেই সময়ে হঠাৎ তাঁর উপরে এক দল দুষ্কৃতী চড়াও হয়।

অসীম ঘোষ। নিজস্ব চিত্র

অসীম ঘোষ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালিয়াগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৮ ০২:১১
Share: Save:

শুক্রবার রাত সাড়ে দশটা। কালিয়াগঞ্জের তরঙ্গপুর বাজারে নিজের তেলকলের অফিসে দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ। বাড়ি থেকে একশো মিটার দূরে গাড়ি থেকে নামেন। অভিযোগ, সেই সময়ে হঠাৎ তাঁর উপরে এক দল দুষ্কৃতী চড়াও হয়। তাদের হাতে তির, ধনুক, হাসুয়া ও তলোয়ার ছিল বলে অভিযোগ করেছেন খোদ অসীমই।

কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে বাড়ি পৌঁছন অসীম। তবে জখম হন তাঁর ঘনিষ্ঠ টিএমসিপি-র কালিয়াগঞ্জ ব্লক সভাপতি স্নেহাশিস ভট্টাচার্য। তাঁর ডান হাতে আঘাত লেগেছে। দুষ্কৃতীরা অসীমবাবুর বাড়ির পাশে তৃণমূল প্রভাবিত একটি ক্লাবে চড়াও হয়ে চেয়ার-টেবিল ও ক্লাবের সামনে রাখা তৃণমূল কর্মীদের তিনটি মোটরবাইক ভাঙচুর করে বলেও অভিযোগ।

উত্তর দিনাজপুর তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি অসীম অভিযোগ করেন, পুরো ঘটনার পিছনেই বিজেপি রয়েছে। তিনি রাতেই কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা বিজেপির ৮৫ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে কালিয়াগঞ্জ থানায় তাঁকে খুনের চেষ্টা, তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো ও ওই ক্লাবে ভাঙচুর করার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। শনিবার সকালে বিজেপির তিন কর্মীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেন, ‘‘যদি অসীমবাবুকে খুনের চেষ্টা-সহ অভিযোগগুলিতে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে ওই তিন জনের বিরুদ্ধে, তা হলে তাঁদের গ্রেফতার করা হবে।’’

তৃণমূলের শীর্ষ সূত্র থেকে এই ঘটনায় উদ্বেগ জানানো হয়েছে শুক্রবার রাতেই। জেলা নেতৃত্বকে বলা হয়েছে, তাঁরা যেন এই বিপদের সময়ে অসীমের সঙ্গে থাকেন।

বিজেপি অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দামের দাবি, দলের কোনও নেতা-কর্মী অসীমবাবুর বাড়ি বা অন্য কোথাও হামলা চালাননি। এ সবই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। আর না হলে অসীমের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধের ঘটনা। তাঁর অভিযোগ, ‘‘নজর ঘোরাতে বিজেপির নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে তৃণমূল।’’

একই দাবি করেছেন কালিয়াগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক প্রমথনাথ রায় ও সিপিএমের জেলা সম্পাদক অপূর্ব পাল। তাঁদের কথায়, ‘‘মনোনয়নপত্র তোলার প্রথম দিন থেকেই জেলার ন’টি বিডিও অফিসে বিরোধীদের বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। তাই গণপ্রতিরোধ হতেই পারে। তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে হামলার ঘটনাও অপ্রত্যাশিত কিছু নয়।’’

অসীমবাবু অবশ্য দাবি করেছেন, কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপি একজোট হয়েও তৃণমূলকে হারাতে পারবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE