বৈদ্যবাটীতে বিজেপিতে যোগদান জিতেন্দ্র তিওয়ারির। নিজস্ব চিত্র
অন্যদের মতো ‘কাজ করতে না পারা’ বা ‘শ্বাসকষ্ট’ নয়, তৃণমূলে থেকে ‘মনের কথা’ বলতে পারছিলেন না তিনি। মঙ্গলবার হুগলির বৈদ্যবাটীতে বিজেপি-তে যোগ দিয়ে এমনটাই বললেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র (জিতেন) তিওয়ারি। বিজেপি-তে যোগ দিয়ে ‘কৃত্রিমতা’ ছাড়াই কথা বলতে পারবেন বলেও আশাপ্রকাশ করেছেন জিতেন। দলত্যাগী জিতেনের ‘মনের কথা’ শুনে পাল্টা খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল।
মাস তিনেক ধরে চলা জিতেন-জল্পনায় অবশেষে ইতি। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর, মঙ্গলবার তিনি যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। বৈদ্যবাটীর জনসভায় পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ককে দলে স্বাগত জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। গত বছর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে তৃণমূলে ‘নিষ্ক্রিয়’ হয়ে থাকা জিতেন বিজেপি-র মঞ্চে পা রেখেই ‘সক্রিয়’ হয়ে উঠেছেন। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি-র এই বৃহৎ পরিবারে আমাকে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।’’ এর পরেই তাঁর সংযোজন, ‘‘এ বার স্বাধীন ভাবে বলার সুযোগ পাব। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চাই না। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে মনের ভাবনা বাইরে প্রকাশ করার খুব একটা সুযোগ ছিল না। মনে এক কথা থাকত, আর বাইরে আর এক কথা বলতে হত। যেটা মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাইতাম, তা করার অবকাশ ছিল না। এখন থেকে আমার বক্তব্যে আর কোনও কৃত্রিমতা থাকবে না। সেই সুযোগ আমাকে করে দেওয়া হয়েছে। যা মনে আসবে তাই বলব। সে জন্য বিজেপিকে কৃতজ্ঞতা জানাই।’’ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে জিতেন আরও যোগ করেন, ‘‘আমার রাজনৈতিক মতাদর্শের কথা যখনই ভেবেছি তখন বিজেপির কথাই মনে হয়েছে। তাঁরাও আমাকে বলেছেন, তোমার দর্শন আমাদের কাছাকাছি। তুমি আমাদের দলে যোগ দাও।’’
বৈদ্যবাটীর সভায় ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়েই সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা শেষ করেন এই দুঁদে রাজনীতিক। তার পরই তাঁর অর্থবহ মন্তব্য, ‘‘এটা (জয় শ্রীরাম ধ্বনি) আজকে নতুন নয়। এটা ছোট থেকে বলে আসছি। তবে আগে মঞ্চে বলার সুযোগ হত না। আজ মঞ্চেও বললাম।’’
জিতেনের ‘মনের কথা’ নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। রাজ্যের পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী তাপস রায় বলেন, ‘‘এর মাঝেও তো উনি মনের কথা বলতে গিয়েছিলেন। ওখানে (বিজেপি) গিয়েই মনের কথা বলুন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy