Advertisement
E-Paper

কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার ব্যস্ততা, তার মধ্যে হঠাৎ সংজ্ঞাহীন! দার্জিলিং বেড়াতে গিয়ে ফের বাঙালি পর্যটকের মৃত্যু

পাহাড়ে বেড়াতে এসে ফের মৃত্যু এক বাঙালি পর্যটকের। মৃতের নাম রাজনারায়ণ দে (৫৫)। তিনি পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা। এই নিয়ে পাহাড়ে বেড়াতে এসে ছ’জন পর্যটকের মৃত্যু হল গত তিন মাসে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:১৩
কাঞ্চনজঙ্ঘা।

কাঞ্চনজঙ্ঘা। ছবি: শাটারস্টক।

পাহাড়ে বেড়াতে এসে ফের মৃত্যু এক বাঙালি পর্যটকের। মৃতের নাম রাজনারায়ণ দে (৫৫)। তিনি পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা। এই নিয়ে পাহাড়ে বেড়াতে এসে ছ’জন পর্যটকের মৃত্যু হল গত তিন মাসে। সম্প্রতি দার্জিলিঙের সান্দাকফুতে গিয়ে এক জনের মৃত্যুর পর পাহাড়ে ঘুরতে আসা পর্যটকদের জন্য স্বাস্থ্যবিধিতে আরও কড়াকড়ি ব্যবস্থা চালু হবে বলে জানিয়েছিল জিটিএ। তার পরেও একের পর পর পর্যটকের মৃত্যুতে প্রশ্নের মুখে পড়েছে প্রশাসনের ভূমিকা।

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বর্ধমান থেকে আট পর্যটকের একটি দল কালিম্পঙে এসেছিল। সেই দলেই ছিলেন রাজনারায়ণ। কালিম্পং থেকে তাঁরা গিয়েছিলেন সিটঙে। সেখানে একটি হোমস্টে-তে ওঠেছিলেন তাঁরা। রাতে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন রাজনারায়ণ। যদিও কিছু ক্ষণ বাদে সুস্থও হয়ে যান। এর পর সকলে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া সেরে শুয়ে পড়েন। বুধবার সকালে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে যাওয়ার আগে ঘরে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন প্রৌঢ়। তড়িঘড়ি তাঁকে রম্ভি প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক প্রৌঢ়কে মৃত ঘোষণা করেন। এর পর পর্যটকের দেহ কালিম্পং জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ময়নাতদন্তের পর দেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে।

ওই পর্যটকদ দলের সদস্য মনোজ মাঝি বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার রাতে আমাদের বাড়ি ফেরার কথা ছিল। রাতে আচমকা একটু শরীর খারাপ হয়। খানিক বাদে নিজে থেকেই সুস্থ হয়ে গিয়েছিল রাজনারায়ণ। এর পর দেখি, অজ্ঞান হয়ে গেল! হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।’’

হোম স্টে-র কর্ণধার অঞ্জু রাই বলেন, ‘‘আটজন এসেছিলেন। ওই ব্যক্তি রাতে অসুস্থ হয়েছিলেন। নেবুলাইজার পাম্প নেওয়ার পর ঠিক হয়ে যান। সকালে অজ্ঞান হয়ে গেলে আমরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করি। কিন্তু বাঁচানো যায়নি।’’

কালিম্পঙের জেলাশাসক বালাসুব্রহ্মণ্যম টি বলেন, ‘‘শারীরিক অসুস্থতার জন্য এক জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। উনি আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। জেলা প্রশাসনের তরফে তাঁর দেহ ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। হোম স্টে-টি দার্জিলিং জেলার অধীনে। তবে যে হেতু সামনেই রম্ভি হাসপাতাল, সেই কারণে ময়নাতদন্তের জন্য কালিম্পং জেলা হাসপাতালে দেহ পাঠানো হয়েছে। বাদ বাকি সব দার্জিলিং জেলা প্রশাসন দেখছে।’’

Tourist Darjeeling Kalimpong
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy