ফের বিধাননগরের পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হলেন সব্যসাচী দত্ত ও কৃষ্ণা চক্রবর্তী। ফাইল চিত্র।
জল্পনা মতোই বিধাননগরের পুরভোটে তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হলেন প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত। সেই সঙ্গে প্রার্থী করা হল বিধাননগরের বিদায়ী মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীকেও। বিধাননগর পুরনিগমের ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দাঁড়াচ্ছেন সব্যসাচী এবং ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হয়েছেন কৃষ্ণা।
বিধাননগর, শিলিগুড়ি, চন্দননগর ও আসানসোলের প্রার্থিতালিকা নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আলোচনায় বসেছিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এর পরই রাতের দিকে প্রকাশ করা হল পূর্ণাঙ্গ প্রার্থিতালিকা। বিধাননগরের তালিকা প্রকাশ পেতেই দেখা গেল, বিদায়ী মেয়র ও প্রাক্তন মেয়র দু’জনেরই নাম রয়েছে তাতে।
২০১৫ সালে তৃণমূলের হয়ে লড়ে জিতে বিধাননগর পুরসভার মেয়র হয়েছিলেন সব্যসাচী। কিন্তু গত লোকসভা ভোটের পর থেকে দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হলে মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। এর পর বিজেপি-তে যোগ দিয়ে গত বিধানসভা নির্বাচনে বিধাননগর কেন্দ্র থেকে গেরুয়া টিকিটে প্রার্থী হন তিনি। কিন্তু তৃণমূলের সুজিত বসুর কাছে পরাজিত হন। তার পর তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন ঘটে তাঁর। এ বার তাঁকেই বিধাননগর পুরনির্বাচনে প্রার্থী করল তৃণমূল।
অন্য দিকে, ২০১৫ সালে বিধাননগর পুরসভার ভোটে জয়ী হয়ে চেয়ারপার্সন হন কৃষ্ণা। সব্যসাচী মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর কৃষ্ণার উপর ভরসা রেখে তাঁকেই মেয়র করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জোড়াফুল শিবির সূত্রে খবর, বিধাননগরের মেয়র হওয়ার দৌঁড়ে তিনিই এগিয়ে রয়েছেন।
এ ছাড়াও, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছে অরাত্রিকা ভট্টাচার্যকে। তিনি বিধাননগর পুরসভার ডেপুটি মেয়র তথা রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ের কন্যা। আর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হয়েছেন দেবরাজ চক্রবর্তী। তৃণমূলে ‘অভিষেক-ঘনিষ্ঠ’ বলেই পরিচিত তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy