Advertisement
E-Paper

Bikaner-Guwahati Express Derailment: ইঞ্জিন মেরামতি এনজেপি-তে হয় না, বিভ্রাট তাতেই

কাটিহার ডিভিশন তো বটেই, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের এলাকায় নেই বৈদ্যুতিক রেল ইঞ্জিন রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতির ইউনিট।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

শান্তশ্রী মজুমদার

শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২২ ০৮:০৩
Share
Save

বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনে গোলমাল ধরা পড়েছিল এনজেপিতেই। ফোরম্যানকে জানিয়েও ছিলেন চালক। কিন্তু উপায় ছিল না বলেই জানাচ্ছেন রেল কর্তারা। কারণ, দীর্ঘদিন ধরে এনজেপিতে ইলেকট্রিক ইঞ্জিন রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতের কোনও ইউনিট তৈরি করতে পারেনি রেল। তা নিয়ে গড়িমসির অভিযোগ তুলছেন রেল কর্মচারীদের সংগঠন। ২০২০ থেকে এনজেপিতে বৈদ্যুতিক ট্রেন যাতায়াত করছে। আর কিছু দিনের মধ্যেই বৈদ্যুতিক লাইন পৌঁছনোর কথা গুয়াহাটিতেও। কিন্তু কাটিহার ডিভিশন তো বটেই, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের এলাকায় নেই বৈদ্যুতিক রেল ইঞ্জিন রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতির ইউনিট। যদিও তা তৈরি হচ্ছে বলে আশ্বাস কর্তাদের।

বৃহস্পতিবার বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠেছে, যে উত্তরবঙ্গ ও উত্তর-পূর্বকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা নিয়মিত বলে থাকেন বিজেপি নেতৃত্ব, সেখানে কেন পুরনো, রদ্দি কামরার ট্রেন চালানো হয়, ইঞ্জিনের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়েও প্রশ্ন থাকে কেন? সেই অভিযোগকেই মান্যতা দিয়েছে রেল কর্মচারীদের সংগঠনের দাবি। সংগঠনের বক্তব্য, ইঞ্জিন রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা এনজেপি-তে থাকলে এত বড় দুর্ঘটনাই হয়তো ঘটত না।

সূত্রের খবর, অথচ রেল ইঞ্জিনের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা ট্রিপ শেড তৈরির প্রক্রিয়া এনজেপি-তে শুরু হয়েছিল দু’বছর আগে। কিন্তু কাজ এখনও শেষ হয়নি। দূরপাল্লার ইঞ্জিন দীর্ঘপথ চলার পর অসুবিধা দেখা দিলে ট্রিপ শেডে সেই ত্রুটিপূর্ণ ইঞ্জিন বদলে ফেলার ব্যবস্থা থাকে। অন্য ইঞ্জিনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় ট্রেনটিতে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মজদুর ইউনিয়নের সহকারী সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ পাল বলেন, ‘‘একের পর এক বেসরকারিকরণ চলছে রেলে। এনজেপি-র মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে ট্রিপ শেড সময়মতো তৈরি হয়ে গেলে হয়তো এমন দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।’’ এনজেপি-র ট্রিপ শেডের কাজ এখনও অনেকটাই বাকি বলেই জানাচ্ছেন রেল আধিকারিকরা।

২০২০ সালের জানুয়ারিতেই বৈদ্যুতিক লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে যায় এনজেপি-তে। শিলিগুড়ি-আলিপুরদুয়ার রুটে বৈদ্যুতিকীকরণের কাজ চলছে। আর কিছু দিনেই তা গুয়াহাটিতে পৌঁছে যাওয়ার কথা। তা হলে কেন শিলিগুড়ি জংশনে ডিজেল শেডে বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করে ফেলা যায়নি?

কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম শুভেন্দুকুমার চৌধুরীর কথায়, ‘‘দু’টি প্রকল্পের কাজই করা হচ্ছে। আরও কিছুটা সময় লাগবে।’’ রেল সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন আগে রেলবোর্ডের সদস্য কুলভূষণ শিলিগুড়ি শেডটিকে বদলে বৈদ্যুতিক শেডে রূপান্তরের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তাতে খরচও কম হয়। কারণ আগে থেকেই পরিকাঠামোর অনেকটাই তৈরি রয়েছে। সেই কাজেও দেরি হচ্ছে বলেই অভিযোগ উঠেছে।

Bikaner–Guwahati Express NJP Maynaguri

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}