Advertisement
E-Paper

বিধায়ক পাঠাতে চান মরিয়া গুরুঙ্গ

গুরুঙ্গ শিবিরের দুশ্চিন্তার দুটি কারণ। প্রথমত, কোনও ভাবে যদি রাজ্যের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা তৈরি হয়, তা হলে বিনয়-অনীতের দিকে আরও ঝুঁকবে পাহাড়। দ্বিতীয়ত, জিএনএলএফ, জন আন্দোলন পার্টিকে (জাপ) সঙ্গে নিয়ে মোর্চার নতুন জুটি ‘কেয়ারটেকার’ হিসেবে আপাতত জিটিএ চালানোর ভার পেতে পারে।

কিশোর সাহা

শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:৩৭
নেতা: তিনধারিয়ায় এক জনসভায় অনীত থাপা। রবিবার। —নিজস্ব চিত্র।

নেতা: তিনধারিয়ায় এক জনসভায় অনীত থাপা। রবিবার। —নিজস্ব চিত্র।

আর এক দিন পর, মঙ্গলবার উত্তরকন্যায় দ্বিতীয় সর্বদল বৈঠক। তার আগে প্রশাসনকে পাশে নিয়ে পাহাড়ে কর্তৃত্ব কায়েমের লক্ষ্যে ধীরে ধীরে এগোচ্ছেন বিনয় তামাঙ্গ-অনীত থাপারা। তাতে উদ্বিগ্ন বিমল গুরুঙ্গ শিবির এখন চাইছে, যে ভাবেই হোক রাশ নিজেদের হাতে রাখতে। সেই লক্ষ্যেই ১২ তারিখের বৈঠকে পাহাড়ের বিধায়ক ও পুরসভার চেয়ারম্যানদের পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুরুঙ্গ শিবির।

গুরুঙ্গ শিবিরের দুশ্চিন্তার দুটি কারণ। প্রথমত, কোনও ভাবে যদি রাজ্যের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা তৈরি হয়, তা হলে বিনয়-অনীতের দিকে আরও ঝুঁকবে পাহাড়। দ্বিতীয়ত, জিএনএলএফ, জন আন্দোলন পার্টিকে (জাপ) সঙ্গে নিয়ে মোর্চার নতুন জুটি ‘কেয়ারটেকার’ হিসেবে আপাতত জিটিএ চালানোর ভার পেতে পারে। তা হলে পাহাড়ের রাশ পুরোপুরি তাঁর বিরোধীদের হাতে চলে যাবে, আশঙ্কা বিমল গুরুঙ্গের।

তাই হিসেব কষেই বিধায়কদের সামনে রেখে এগোতে চাইছে গুরুঙ্গ শিবির। তিন বিধায়ক রবিবারই কলকাতায় কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেন। দেখা না হলেও লিখিত ভাবে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, পাহাড়ের প্রতিনিধি হিসেবে ১২ তারিখের বৈঠকে যোগ দিতে চান। রাজ্য এখনও সাড়া দেয়নি। সোমবার শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রতিনিধিদল পাঠাতে পারে গুরুঙ্গ শিবির। তাদের তরফে জ্যোতিকুমার রাই বলেছেন, ‘‘পাহাড়ের তিন বিধায়ক, কালিম্পং পুরসভার চেয়ারপার্সন এবং দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা আর বি ভুজেল বৈঠকে যাবেন।’’ ভুজেল আবার বিনয়দের প্রতিনিধিদলেও রয়েছেন! ভুজেলের মন্তব্য, ১২ সেপ্টেম্বরই সব স্পষ্ট হবে।

আরও পড়ুন: ডিএ ঘোষণায় শব্দ প্রয়োগের নিন্দায় কোর্ট

মোর্চা সূত্রে বক্তব্য, গুরুঙ্গরা চান বৈঠকে ঢুকে সোজা গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলতে। তাতে রাজ্য আপত্তি করলে ‘ওয়াকআউট’ করে বাইরে এসে তাঁরা সরাসরি কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকের দাবি করতে পারেন। অথবা, আলোচনা ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের দিকে নিয়ে যেতে পারলে নিজেদের নৈতিক জয় হয়েছে জানিয়ে বন্‌ধ তুলে নিতে পারেন। তখন পাহাড় খুলে গেলে রাশ হাতে রাখতে পারবে গুরুঙ্গ-শিবির।

কিন্তু রাজ্য এখনও সাড়া দেয়নি। উল্টে অনীত থাপা এ দিন তিনধারিয়ায় জনসভা করে পাহাড়ে হাঙ্গামার জন্য নাম না করে গুরুঙ্গকেই দায়ী করেছেন। তাঁর সভায় যা ভিড়, তাতে উদ্বেগ বাড়ারই কথা গুরুঙ্গের।

Bimal Gurung GJM All Party Meeting Gorkhaland বিমল গুরুঙ্গ অনীত থাপা
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy