কেন্দ্রের চাপে অনশন প্রত্যাহার করলেও পৃথক গোর্খাল্যান্ড আন্দোলন চলবে বলে দাবি করল মোর্চা। মঙ্গলবার মোর্চার প্রেস বিবৃতির শেষে দাবি করা হয়েছে আন্দোলনের সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না। পৃথক রাজ্যের দাবিতে এই গণ আন্দোলন নিয়ে পাহাড়বাসী যাতে মনোবল না হারান, সেই বার্তাও দেওয়া হয়েছে মোর্চার তরফে।
এ দিকে, এ দিনই দার্জিলিঙের জিঙ্গ চা বাগানে জাতীয় পতাকা তুলেছেন বিমল গুরুঙ্গ। সূত্রের খবর সেখানে গুরুঙ্গ মন্তব্য করেছেন, ‘‘আমার ইচ্ছে ছিল পার্টি অফিসে পতাকা তুলব। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনী পার্টি অফিস ঘিরে রেখেছে। তাই এই মাঠে পতাকা তুলছি। তবে গোর্খাল্যান্ডই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হাসিল করবই।’’ পতাকা তোলার পরে মিনিট দশেকের বক্তৃতায় গুরুঙ্গ দাবি করেছেন, এত দিন তাঁকে জঙ্গলে থাকতে হয়েছে। ওই সভা থেকেই তিনি হুমকি দিয়েছেন, প্রয়োজনে বন্ধ আরও ৬ থেকে ৭ মাস চলতে পারে। চা বাগানকেও বন্ধ থেকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে তাঁর দাবি।
আরও পড়ুন: প্লাবিত উত্তরে মৃত্যু আরও চার জনের
বন্ধ নিয়ে গুরুঙ্গের এই হুমকিকে ‘চাপ মোকাবিলা’র কৌশল বলেই দাবি করছেন পাহাড়ের রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। এক দিকে রাজ্যের অনবরত চাপ, অন্য দিকে কেন্দ্রের থেকে সদর্থক সাড়া না পেয়ে এই মুহূর্তে মোর্চা যথেষ্ট বেকায়দায়। কেন্দ্র আলোচনার কথা বললেও রাজ্যের তরফে এখনও ডাক পায়নি মোর্চা। সূত্রের খবর, বন্ধ না তুললে রাজ্য আলোচনায় ডাকবে এমন কোনও সম্ভাবনাও নেই। অনশন প্রত্যাহার করা নিয়েও দলের অন্দরে তীব্র মতানৈক্য রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এ দিন হমকি দিয়ে গুরুঙ্গ নিজের ‘ভাবমূর্তি’ সামলানোর চেষ্টাও করলেন বলেও ঘনিষ্ঠদের দাবি।
রাজ্য বা কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা নিয়ে মোর্চার তরফে এ দিন স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি। মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, ‘‘পাহাড়ে আন্দোলন চলছে। যা বলার বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।’’