প্রতীকী ছবি
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আমপান-দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যখন বিজেপি-সহ বিরোধীরা সরব, তখন গত নভেম্বরে আর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় বুলবুলের ক্ষতিপূরণ নিয়ে গোসাবায় বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা দুর্নীতির অভিযোগ তুলল তৃণমূল।
বুলবুলের তাণ্ডবে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায় কৃষিজমির ক্ষতি হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের জমির পরচা সহ-কৃষি অধিকর্তার দফতরে জমা দিয়ে ক্ষতিপূরণের আবেদন করতে বলেছিল সরকার। জমির পরিমাণ অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৭ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণও পেয়েছেন তাঁরা। কিন্তু গোসাবার সাতজেলিয়া পঞ্চায়েত এলাকায় স্থানীয় বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য ও নেতৃত্ব প্রায় ৪০০ জনের ভুয়ো পরচা তৈরি করে প্রায় দু’কোটি টাকা হাতিয়েছেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন এলাকার তৃণমূল নেতা তথা গোসাবা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অচিন পাইক। তাঁর দাবি, “এলাকার বিজেপি নেতা ও সাতজেলিয়ায় পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্যেরা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত।’’ গোসাবার জেলা পরিষদ সদস্য অনিমেষ মণ্ডল বলেন, “সাতজেলিয়া জুড়ে এই দুর্নীতি হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’’
সাতজেলিয়া পঞ্চায়েতে তৃণমূলের হাতে আছে ১১টি আসন। বিজেপির ৪টি। প্রধান তৃণমূলের নিরঞ্জন মণ্ডল বলেন, “দু’হাজার, চার হাজার টাকার বিনিময়ে জমির মালিকদের কাগজ হাতিয়ে টাকা তছরুপ করা হয়েছে। এ বিষয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসেই বিডিও-র কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলাম।’’ গোসাবার বিডিও সৌরভ মিত্র বলেন, “অভিযোগ পেয়ে সহ-কৃষি দফতর শুনানি শুরু করেছিল। কিন্তু লকডাউন শুরু হওয়ায় বিষয়টি থমকে রয়েছে।’’
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। সাতজেলিয়া পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য হেমন্ত মিস্ত্রি বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কেউ জড়িত নয়। আমিও সে সময়ে কাজের জন্য ভিন্ রাজ্যে ছিলাম।’’ বিজেপির গোসাবা ব্লকের সংগঠনের দায়িত্বে থাকা সঞ্জয় নায়েক বলেন, “আমপান নিয়ে নিজেদের দুর্নীতি ধামাচাপা দিতেই বিজেপির বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy