দু’মাস হতে চলল বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশ হয়েছে। বিজেপি-র অভিযোগ, রাজনৈতিক হিংসার কারণে ঘরছাড়ারা এখনও ঘরমুখো হননি। কর্মস্থানে ফিরতে পারেননি অনেকে। এই পরিস্থিতিতে দলও পাশে দাঁড়ায়নি বলে অভিযোগ ‘ঘরছাড়া’দের। অভিযোগের তির শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণেই তাঁরা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। সোমবার ভোট পরবর্তী হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের এমনই টুকরো টুকরো কথা উঠে এল সল্টলেকের সিআরপিএফ ব্যাটালিয়নে।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তের দায়িত্ব পায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সেই মতো এই ঘটনায় তদন্তের জন্য একটি দল গঠন করে কমিশন। গত সপ্তাহ থেকে কমিশনের সদস্যরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসার ঘটনা ঘুরে দেখেন। আদালতের নির্দেশ মতো সোমবার ছিল অভিযোগ জমা নেওয়ার শেষ দিন। সেই মতো সিআরপিএফ ব্যাটালিয়নে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্যরা। সেখানেই অভিযোগ জানাতে যান আক্রান্তকারীরা।
হিংসার কারণে ভুক্তভোগী ক্যানিংয়ের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ মণ্ডল। দু’মাস তিনি ঘরে ফিরতে পারেননি। তাঁর অভিযোগ এলাকার বিধায়ক শওকত মোল্লার বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘‘ভোটের পর থেকে বাড়িতে একাধিক বার আক্রমণ করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। ধান নষ্ট করে দিয়েছে। কোনওমতে প্রাণ বাঁচিয়ে এসেছি। আমি এলআইসির এজেন্ট। এখন গ্রাহকদের টাকাও সংগ্রহ করতে পারছি না। থানায় অভিযোগ জানিয়েও কোনও সাহায্য মেলেনি।’’ মানিকতলার বাসিন্দা অশোক সর্দার। ভোট পরবর্তী হিংসায় তিনিও ভুক্তভোগী। পেশায় বক্সার। বছর তেইশের অশোক বলছেন, ‘‘বিজেপি করার অপরাধে বাড়ির লোকদের মারধর করা হয়েছে। ঘরে থাকতে সাহস পাচ্ছি না। তাই অভিযোগ জানাতে এলাম।’’