ছবি: সংগৃহীত।
রাজ্যে ‘গণতন্ত্র বাঁচানো’র কর্মসূচি থেকে পুলিশকে দিয়ে পা-চাটানো থেকে শুরু করে তাদের বিরুদ্ধে খুন-ধর্ষণের মামলা সাজানোর হুমকি দিলেন বিজেপি নেতারা।
শুক্রবার মেয়ো রোডে গাঁধী মূর্তির নিচে এবং রাজ্যের আরও ৮২টি জায়গায় জেলা বা মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে ‘গণতন্ত্র বাঁচাও, বাংলা বাঁচাও’ শীর্ষক অবস্থান-বিক্ষোভ করে বিজেপি। হাওড়ার সভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘যে পুলিশ অফিসার তৃণমূলের কথা শুনে আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যে কেস দিচ্ছেন, তাঁর নাম লিখে রাখুন। এক বছরের মধ্যে অবসর হবে না। চাকরিও করতে হবে, আবার বউ-বাচ্চার মুখও দেখতে হবে। দু’টো কাজ কিন্তু সমস্যায় পড়ে যাবে। আর আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে যেমন ইচ্ছা করে ধর্ষণ, খুন, অস্ত্র মামলা দেওয়া হচ্ছে, তেমন একটা-দু’টো কেস আপনাদেরও খেতে হবে। পেনশন-গ্র্যাচুইটি আটকে যাবে। ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করতে পারবে না।’’ রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় আসানসোলে বলেন, ‘‘আমাদের কর্মীদের পুলিশ মারছে, লক-আপে গুলি করছে। এই ধরনের পুলিশদের চিহ্নিত করে আমরা পা-চাটাব।’’
এই সব মন্তব্য প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায় বলেন, ‘‘যারা রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটকে টাকার বান্ডিল আর বাজারের থলি হাতে বিধায়ক কিনতে বেরিয়েছিল, সেই দলের কাছ থেকে আমরা গণতন্ত্রের পাঠ নেব না। আর দিলীপবাবুরা পুলিশকে যে অশ্লীল হুমকি দিয়েছেন, তা থেকেও স্পষ্ট, কেমন গণতন্ত্রে তাঁরা বিশ্বাস করেন!’’
মেয়ো রোডে গাঁধী মূর্তির নিচের সভায় দিলীপ বলেন, ‘‘২০১৯-এর লোকসভা ভোটে যে-ই বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে, অমনি দিদিমণি রাস্তায় নেমে বলছেন— ইভিএম নয়, ব্যালট চাই। আমরা তৃণমূলকে ইভিএমেও হারাব, ব্যালটেও হারাব।’’ তাঁর অভিযোগ, হেরে যাওয়ার আশঙ্কাতেই ২০১৮ সালে মেয়াদ ফুরনো ১৭টা পুরসভার ভোট করায়নি রাজ্য সরকার। এতে তাপসের প্রতিক্রিয়া, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের কোনও অঞ্চলের মানুষকেই যাঁরা চেনেন না, তাঁরাই এমন আজগুবি অভিযোগ করেন।’’
করোনা আবহেও বিজেপির প্রায় সব ক’টি কর্মসূচিতেই যথেষ্ট ভিড় হয়েছিল ও জনতাকে সামাজিক দূরত্ব বিধি রক্ষা করতেও দেখা যায়নি। এ দিন অনেকের মুখে মাস্ক ছিল না, তা ঝুলছিল গলায় বা থুতনিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy