দু’রকম জাতিগত শংসাপত্র রয়েছে উত্তর দিনাজপুরের জেলা সভাধিপতি তৃণমূলের পম্পা পালের, এমনই অভিযোগ বিজেপির। সোমবার রাতে সমাজমাধ্যমে পম্পার নামে দু’রকমের শংসাপত্রের ছবি-সহ (সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) ওই অভিযোগ তোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। প্রশাসনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি। এ নিয়ে জাতীয় এসসি (তফসিলি জাতি) কমিশন ও আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। পম্পা অভিযোগ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেননি। তাঁর স্বামী করণদিঘির তৃণমূল বিধায়ক গৌতম পাল বলেন, “বিষয়টি কলকাতা হাই কোর্টে বিচারাধীন। মন্তব্য করব না।”
সুকান্তের অভিযোগ, ২০১৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মহকুমাশাসকের (রায়গঞ্জ) দফতর থেকে পম্পার নামে ওবিসি শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। আবার ২০২৩ সালের ১১ অগস্ট তাঁর নামে মহকুমাশাসকের (ইসলামপুর) দফতর থেকে এসসি শংসাপত্র দেওয়া হয়। রাজ্য বিজেপির সভাপতির দাবি, ‘‘পম্পার এসসি সার্টিফিকেট জাল। এর বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত। প্রশাসনিক আধিকারিকেরা কী ভাবে এই শংসাপত্র দিলেন, তদন্ত করতে হবে।’’ জেলা পরিষদের সভাধিপতির মতো গুরুত্বপূ্র্ণ পদে থাকা পম্পার কী ভাবে ‘এক সঙ্গে’ এসসি ও ওবিসি শংসাপত্র হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কৌস্তভ। তিনি বলেন, “বিষয়টি জাতীয় এসসি কমিশনে জানাব।’’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবেদনকারীদের নির্ভুল ও দ্রুত জাতিগত শংসাপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সব জেলা প্রশাসনকে। তার পরেও পম্পার ক্ষেত্রে এমন অভিযোগ উঠল কেন, সে প্রশ্ন উঠেছে। তবে জেলা প্রশাসন সূত্রের দাবি, পম্পার দু’রকমের জাতিগত শংসাপত্র রয়েছে অভিযোগে কালিয়াগঞ্জের এক ব্যক্তি বছর দেড়েক আগে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন। শুনানিতে প্রশাসনের কর্তারা আদালতে লিখিত বক্তব্য জানান। দাবি করা হয়, ভুল করে ওবিসি শংসাপত্র দেওয়া হয়েছিল, তা বাতিল হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)