নির্বাচন কমিশনের অফিসে বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিংহ।—নিজস্ব চিত্র।
সারদা-কেলেঙ্কারি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে দশ দফা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক সিদ্ধার্থনাথ সিংহ। দলের তরফে এ রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষকের প্রশ্ন, সারদা-কাণ্ডে ১৭ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তৃণমূল নেত্রী সিঙ্গুরের মতো আন্দোলন বা অনশন করছেন না কেন? কেনই বা তিনি সিবিআই তদন্তে বাধা দিচ্ছিলেন? তিনি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন কেন সারদার সংস্থার সঙ্গে আইআরসিটিসি-র চুক্তি হল? তাঁর মন্ত্রীদের ঘনিষ্ঠরা সারদা-কেলেঙ্কারিতে জড়িত বলে উঠে এলেও, সিবিআই তাদের জেরা করলেও মুখ্যমন্ত্রী চুপ কেন?
এই সব প্রশ্নের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক সিঙ্গাপুর সফর নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সিদ্ধার্থনাথ। ওই সফরের আগেই তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক এক দিনের। অথচ তাঁর সফর পাঁচ দিনের। বাকি দিনগুলি তিনি সেখানে কী করবেন? সারদা কেলেঙ্কারির টাকা রেখে আসবেন না তো?” এ দিন তিনি ওই সফর নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি তোলেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সিঙ্গাপুর ভ্রমণ নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করে রাজ্য সরকার জানাক কারা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে গিয়েছিল, কত টাকা খরচ হল, কারা সেই টাকা দিল এবং কী শিল্প এল।” প্রসঙ্গত, সিঙ্গাপুরে সফররত মুখ্যমন্ত্রীর পাশে কৃষ্ণকান্ত কয়ালের ছবি প্রকাশ্যে আসার পর বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হয়।
সারদা-কাণ্ড নিয়ে এ দিন সরব হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করার পরে এ দিন তিনি বলেন, তদন্তের অভিমুখ মুকুলের দিকেও ঘোরানো দরকার। অধীরের এমন দাবির নেপথ্যে তৃণমূল নেতা আসিফ খানের মম্তব্য। আসিফ দাবি করেছেন, সহায়-সম্বলহীন অবস্থা থেকে এখন কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গিয়েছেন কিছু তৃণমূল নেতা। ‘ক্লিন চিট’ নিতে চাইলে মুকুলবাবু-সহ সংশ্লিষ্ট সকলেরই সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়া উচিত বলে দাবি করেছেন আসিফ। এই সূত্রেই অধীরের অভিযোগ, “সারদা থেকে মুকুলও লাভবান হয়েছেন। এখন হাত ধুয়ে ফেলার জন্য তিনি ও তাঁর ছেলে দলের ভিতরে পরিবর্তনের ডাক দিচ্ছেন।” এই অভিযোগ নিয়ে মুকুল অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy