—ফাইল চিত্র।
ঘাটালের ভোট শেষ হতেই সিআইডি জেরার মুখে প্রাক্তন আইপিএস অফিসার তথা বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ। মঙ্গলবার সকাল সা়ড়ে ১১টা নাগাদ ভবানী ভবনে পৌঁছন তিনি। ইতিমধ্যেই প্রথম দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর ভারতীর বয়ান রেকর্ড করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যদিও কী কারণে প্রাক্তন ওই আইপিএস অফিসারকে তলব করা হয়েছে, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি গোয়েন্দা কর্তারা।
ভারতীর বিরুদ্ধে ৪৫ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করেন এক ফল ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে সিআইডি। এর পাশাপাশি দাসপুরের সোনা-কাণ্ডেও তাঁর নাম জড়িয়ে যায়। দাসপুরের এক ব্যবসায়ী তাঁর বিরুদ্ধে তোলাবাজির মামলা করেন। সিআইডি সূত্রে খবর, ওই মামলাগুলিতে ভারতীকে জেরা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
২০১৬ সালে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন ওই ফল ব্যবসায়ী। পরে তিনি সেই মামলা প্রত্যাহারও করে নিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছেন, মামলা করার পর ২০ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়। মামলা প্রত্যাহার করা হলে, বাকি টাকাও ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে আর টাকা পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর ছবি বিকৃত করে পোস্ট, বিজেপি নেত্রীকে ক্ষমা চাইতে বলে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট
সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি দাদার হাত দিয়ে ঝাড়গ্রামের কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছে ৪৫ লক্ষ টাকা পাঠিয়ে ছিলেন। রাতে খড়্গপুরে গাড়ি দুর্ঘটনার মুখে পড়লে টহলরত পুলিশকর্মীরা আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু গাড়ি এবং টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।
পশ্চিম মেদিনীপুরের তৎকালীন পুলিশ সুপার ছিলেন ভারতী ঘোষ। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই ফল ব্যবসায়ী। অভিযোগ, ৪৫ লক্ষ টাকার উত্স জানতে তদন্তের নামে টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। তাঁকে অন্যান্য মামলায় তাঁকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: আগামী ২৪ ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে
ওই ব্যবসায়ী এত দিন পর ফের মামলা করায়, ভারতী ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, সিআইডি-র চাপে মামলা হয়েছে। তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। এই ধরনের কোনও ঘটনার সঙ্গেই তিনি যুক্ত নন। এ দিনের জেরা প্রসঙ্গে সিআইডি-র ডিআইজি (অপারেশন) নিশাত পারভেজকে ফোন করা হলে, তিনি কোনও জবাব দেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy