ফাইল চিত্র।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের বিস্ফোরক দাবির দিনেই রাজ্য বিজেপি-র দাবি যে যাই বলুক কাঁথিতে ভূমিধস জয় পাবে গেরুয়া শিবির।
বুধবার দুপুরে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘শুভেন্দু বিজেপি-তে থাকতে পারছেন না। তাঁর দমবন্ধ হয়ে আসছে। তাই তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন বলেই আমরা খবর পেয়েছি। কারণ তাঁদের পরিবার বিজেপি-তে সম্মান পাচ্ছে না।’’ আর সন্ধ্যায় বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বললেন, ‘‘হাস্যকর দাবি করেছেন। এর কোনও জবাব হয় না।’’ একই সঙ্গে শমীকের দাবি, কাঁথিতে অধিকারী পরিবারকে হেয় করার জন্যই নানা রকম চক্রান্ত করছে তৃণমূল। অন্য দিকে, কুণালের মন্তব্য প্রসঙ্গে শিলিগুড়িতে শুভেন্দু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘কোনও জেলখাটা আসামীর কথার জবাব আমি দেব না।’’
রাজ্যের ১০৮টি পুরসভা নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল বুধবার। সে দিনেই বজবজ পুরসভায় বিনা নির্বাচনে জয়ী হয়ে গিয়েছে তৃণমূল। সাঁইথিয়া পুরসভাতেও কোনও আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি প্রধান বিরোধী দল বিজেপি।
কাঁথি পুরসভায় প্রার্থী দেওয়া নিয়ে সকাল থেকে উত্তেজনা থাকলেও দিনের শেষে ২১টি ওয়ার্ডেই প্রার্থী দিতে পেরেছে বিজেপি। ওই পুরসভায় দীর্ঘ দিন ধরেই শিশির অধিকারীর পরিবারের আধিপত্য রয়েছে। অধিকারী পরিবারের একাধিক ব্যক্তি হয়েছেন পুরসভার চেয়ারম্যান। তবে শিশিরের মেজপুত্র শুভেন্দু এখন বিজেপি-তে। তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শিশিরের ছোট ছেলে সৌম্যেন্দুও বিজেপি-তে।
অতীতে শিশির, শুভেন্দু, সৌম্যেন্দু তো বটেই দিব্যেন্দু অধিকারীও কাঁথি পুরসভার প্রধান হয়েছেন। কিন্তু ওই পরিবারের কেউই এই পুর নির্বাচনে বিজেপি-র টিকিট পাননি। তা নিয়েও বুধবার কটাক্ষ করেন কুণাল। বলেন, ‘‘অধিকারী পরিবারের কোনও সদস্যকেই বিজেপি মনোনয়ন দেয়নি। আদি বিজেপি-রা অধিকারীদের মেনে নেয়নি।’’ এর জবাবে শমীক বলেন, ‘‘অধিকারী পরিবার নিয়ে যত খুশি কুৎসা করুন আমরা একটা বিষয়ে নিশ্চিত যে কাঁথি পুরসভায় রেকর্ড জয় পাবে বিজেপি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy