—প্রতীকী ছবি।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধী পক্ষের মূল অভিযোগ ছিল মনোনয়ন দিতে না পারা। এই নিয়ে সবচেয়ে সরব হয়েছিল বিজেপি। এ বার উল্টো ছবি। মনোনয়ন শেষ হওয়ার পরে বিজেপি মনে করছে তারা প্রথম পর্বের ‘লড়াই’ জিতে নিতে পেরেছে। তাই এখনই কার্যত যেন যুদ্ধ জয়ের ‘হাসি’ রাজ্য বিজেপির অন্দরে।
একটা সময় ছিল, যখন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি কতটা লড়াইয়ের জায়গা থাকবে সেই নিয়ে ধন্দ ছিল দলের অন্দরে। কিন্তু মনোনয়ন পর্বে যে ভাবে দলীয় জন প্রতিনিধিরা একাধিক জায়গায় মাটি কামড়ে পড়ে থেকে মনোনয়ন করিয়েছেন, তাতে এতটাই খুশি রাজ্য বিজেপি, যে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, “এ বার আর একতরফা নির্বাচন হবে না। তৃণমূল হই হই করে সব জিতবে, এমনটা ভাবার কারণ নেই। আমরাও কয়েকটি জেলা পরিষদে জেতার মতো জায়গায় আছি।” দলের মতে, মনোনয়নের সংখ্যা নিচু তলায় ‘আত্মবিশ্বাস’ জোগাবে। তাদের পরবর্তী কৌশল বুথ রক্ষা। সেই কাজেই মানুষকে সঙ্ঘবদ্ধ করার বার্তা গিয়েছে জেলায় জেলায়।
আরও একটি ঘটনা আশান্বিত করছে দলকে। এ বার পদ্ম প্রতীকে লড়ছেন একাধিক সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্য। বীরভূমের মতো জেলায় কয়েক জন পদ্মপ্রার্থী রয়েছেন, যাঁরা সংখ্যালঘু। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বগটুইয়ে স্বজনহারা পরিবারের সদস্যরা। এ ছাড়া, কল্যাণী বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত অন্তত দেড় হাজার সংখ্যালঘু বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন বলে বিজেপি দাবি করেছে। রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে বিজেপি করার অপরাধে বীরভূমে ছয় জন সংখ্যালঘু খুন হন। গত ১১ বছর বাংলায় যত রাজনৈতিক খুন হয়েছে, তার সিংহভাগ সংখ্যালঘু। কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করেছে। তাঁরা বুঝতে পারছেন, গুজরাতে সংখ্যালঘুদের কী অবস্থা আর বাংলায় কী অবস্থা।”
তবে বিজেপির চিন্তা রয়েছে নির্বাচনের দিন শাসক দলের ‘সন্ত্রাস’ নিয়ে। রাজ্য বিজেপির তরফে নির্দেশও গিয়েছে জেলায়। যেখানে মানুষকে সঙ্ঘবদ্ধ করে বুথ রক্ষার কথা বলা হয়েছে। প্রয়োজনে বিরোধীদের ‘একজোট’ করার কথাও বলা হয়েছে। বিজেপির ধারণা, বুথ রক্ষা করা গেলে খালি হাতে ফিরতে হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy