দু’বছর পরের বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করাই নয়, চলতি বছরে পুরভোটের প্রস্তুতিও একই সঙ্গে শুরু করল বিজেপি। বীরভূমের ইলামবাজারে ‘শহিদ মঞ্চ’ গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই নির্বাচনী প্রস্তুতিতে নেমে পড়ল বিজেপি। ‘বাংলা বাঁচাও অভিযান’-এর সময়সীমাও বাড়িয়ে দেওয়া হল।
দলের রাজ্য কমিটির বর্ধিত বৈঠকের পরে মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ বলেন, “পুর ও বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে কলকাতা জেলা কমিটির সমস্ত মণ্ডলগুলির অবলুপ্তি ঘটিয়ে বিধানসভা-ওয়াড়ি মোট ১১টি মণ্ডল গড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।” কয়েক দিনের মধ্যেই এই নতুন মণ্ডলগুলি গঠিত হয়ে কাজ শুরু করবে বলে তিনি জানান।
লোকসভা ভোটের পরে গ্রামে গ্রামে দলের সাংগঠনিক উপস্থিতি প্রমাণের লক্ষ্যে পক্ষকালব্যাপী ‘বাংলা বাঁচাও অভিযান’ কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুদিন ২৩ জুন থেকে তাঁর জন্মদিন ৬ জুলাই পর্যন্ত এই কর্মসূচির কথা ছিল। কিন্তু ভাল সাড়া পাওয়ায় ওই কর্মসূচির সময়সীমা বাড়িয়ে ১৫ অগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে। কয়েক লক্ষ মানুষ তাঁদের দলে যোগ দিয়েছেন বলে রাহুলবাবুর দাবি। এই নতুন সদস্যদের রাজনৈতিক প্রশিক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি।
আবার বাম সমর্থকদের ঠিক এই প্রবণতার জন্যই উদ্বিগ্ন আরএসপি। লোকসভা ভোটের পরে এক দিকে জেলায় জেলায় বাম কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিজেপি-তে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। পাশাপাশি, গ্রামাঞ্চলে দ্রুত প্রভাব বিস্তার করছে সঙ্ঘ পরিবার। সন্ধ্যার পরে গ্রামে গ্রামে ঘুরে আপাত-নিরীহ ধর্মীয় কর্মসূচির প্রচারের অবসরেই তারা মানুষের বিশ্বাস অর্জন করার চেষ্টা করছে। রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকের পরে মঙ্গলবার দলের রাজ্য সম্পাদক ক্ষিতি গোস্বামীর বক্তব্য, “এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় যেখানে যতুটুকু শক্তি আমাদের আছে, মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy