Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ছেঁকা কাণ্ডে এ বার কোর্টে যাচ্ছে বিজেপি

হুগলিতে দলীয় কর্মীর বুকে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে ‘টিএমসি’ লেখার ঘটনার ঘটনার দ্রুত বিচার এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিজেপি। ঘটনার পিছনে তৃণমূলকে দুষে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা এ রাজ্যের পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিংহ বলেন, “আমরা চাই, আদালতের নজরদারিতে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) বা সিবিআই এই ঘটনার তদন্ত করুক। হাইকোর্টে সেই আর্জি জানানো হবে।”

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:২১
Share: Save:

হুগলিতে দলীয় কর্মীর বুকে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে ‘টিএমসি’ লেখার ঘটনার ঘটনার দ্রুত বিচার এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিজেপি। ঘটনার পিছনে তৃণমূলকে দুষে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা এ রাজ্যের পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিংহ বলেন, “আমরা চাই, আদালতের নজরদারিতে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) বা সিবিআই এই ঘটনার তদন্ত করুক। হাইকোর্টে সেই আর্জি জানানো হবে।”

৩ ডিসেম্বর বিষ্ণু চৌধুরী নামে বাঁশবেড়িয়ার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি সভাপতির বুকে সিগারেটের ছেঁকা দিয়ে ‘টিএমসি’ লেখার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাত থেকেই বিষ্ণুবাবুর আর খোঁজ মিলছে না। রাতেই তাঁর দাদা সন্তোষ চৌধুরী বিজেপি জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে মগরা থানায় গিয়ে তাঁর ভাইয়ের উপরে ওই ভাবে অত্যাচার চালানোর অভিযোগ দায়ের করেন বাঁশবেড়িয়া শহর তৃণমূল সভাপতি রাজা চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর অনুগামীদের নামে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে পাল্টা বিষ্ণুবাবুর বিরুদ্ধে দলকে মিথ্যা অভিযোগে কালিমালিপ্ত করার অভিযোগ দায়ের হয়। ফলে, শুরু হয়েছে দু’পক্ষের চাপান-উতোর।

রবিবার দু’পক্ষ রাস্তায় নামে। বাঁশবেড়িয়ায় মিছিল করে তৃণমূল। বিজেপি চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড়ে দোষীদের ধরার দাবিতে বিক্ষোভ করে। দুপুরে রাজ্য বিজেপি-র মানবাধিকার সেলের আহ্বায়ক ভাস্কর ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে তিন সদস্যের দল বিষ্ণুবাবুর বাড়ি গিয়ে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে। বিষ্ণুবাবুর স্ত্রী সর্বাণীদেবী তাঁদের বলেন, “ওঁর গায়ে যে ছেঁকা দেওয়া হয়েছিল, তা জানতে পারিনি। তিন-চার দিন বাড়ি আসছে না।” সন্তোষবাবু বলেন, “ভাইকে যে ভাবে ছেঁকা দিয়ে টিএমসি লেখা হয়েছে তা দুঃখজনক। যারা এই কাজ করেছে তাদের যেন শাস্তি হয়।’’

অভিযোগ অস্বীকার করে বাঁশবেড়িয়ার তৃণমূল নেতার দাবি, “মাঝেমধ্যেই সকলের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বিষ্ণুবাবু নানা ঘটনা ঘটান। কখনও গাছে, কখনও টাওয়ারে চড়েন। এক বার ব্যান্ডেল স্টেশনে বোমাতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগে ধরাও পড়েন। সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনকে ‘জাতীয় দেশপ্রাণ দিবস’ ঘোষণার দাবি তুলে ২০১২ সালে নিজের শরীরে ৭৬টি সূঁচ ফুটিয়ে ঘুরে বেরিয়েছেন। এ বারে আমাদের দলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE