প্রতীকী ছবি।
অনুমতি দিয়েও পরে জনসভা করতে না দেওয়ার অভিযোগে রবিবার সিউড়িতে বিক্ষোভ মিছিল করে বীরভূম জেলা প্রশাসনকে তুলোধোনা করলেন বিজেপি নেতৃত্ব। হুঁশিয়ারি দিলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকেও।
বিজেপি-র অভিযোগ, এ দিন রাজনগরের তাঁতিপাড়ায় দলের রাজ্য নেতৃত্বের জনসভা করার কথা ছিল। তার জন্য প্রশাসন প্রাথমিক ভাবে অনুমতিও দেয়। কিন্তু পরে ৭০ কিলোমিটার দূরে বোলপুরে পৌষমেলা চলছে— এই অজুহাত দেখিয়ে অনুমতি নাকচ করে দেয় প্রশাসন। পরে সিউড়িতেও জনসভার অনুমতি মেলেনি। এর প্রতিবাদেই বিক্ষোভ মিছিল করে বিজেপি। সেখানেও যোগ দিতে যাওয়ার পথে দলীয় কর্মীরা পুলিশ-প্রশাসন এবং তৃণমূলের বাধার মুখে পড়েন বলে বিজেপি-র অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতেই জেলা প্রশাসন এবং শাসক তৃণমূলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়-সহ অনেক নেতা।
বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, ‘‘জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করে বিজেপিকে আটকে দেওয়ার জন্য জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অভিযোগ জানানো হবে।’’ এর রেশ ধরেই মুকুল বলেন, ‘‘সিউড়ির আইসি-র আরও ১৫ বছর চাকরি আছে। এত বছর মমতা আপনাকে বাঁচাবেন না। আর জেলাশাসক, পুলিশ সুপারকে আমি স্পিরিটেট অফিসার বলেই জানতাম। আইএএস, আইপিএস অফিসারেরা এ ভাবে ঝুঁকে পায়ে পড়েন, এটা জানা ছিল না।’’ অনুব্রতর নাম না করে মুকুল বলেন, ‘‘পরের সভায় আমি ওর সম্বন্ধে এমন কিছু বলব, তাতে হয় দলই ওকে বের করে দেবে, নয়তো নিজেই দল ছেড়ে দেবে। এটা আমার চ্যালেঞ্জ।’’
বিজেপি-র কটাক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি জেলা প্রশাসনের দুই শীর্ষকর্তার কাছে। মুখ খোলেননি সিউড়ির আইসি-ও। আর বিজেপিকে বাধা দেওয়ার প্রশ্নে জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত বলেন, ‘‘ওদের ২৫০টা লোক। বাধা দেওয়ার প্রশ্নই নেই।’’ মুকুলের হুঁশিয়ারি নিয়ে অবশ্য অনুব্রতর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy