রবিবার ভোরে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এক লাফে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে নেমে গিয়েছিল। দিনভর তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক নীচে রইল। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রির উপরে উঠলই না! দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্রই আগামী কয়েক দিনে শীত আরও বাড়বে, জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
রবিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ৫.২ ডিগ্রি কম। দক্ষিণবঙ্গের অন্য কোনও জেলাতেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রির উপরে ওঠেনি। সাগরদিঘিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং পুরুলিয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছিল। বাকি সব জায়গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রির নীচে। তাপমাত্রা কমছে, সেই সঙ্গে রয়েছে কনকনে ঠান্ডা হাওয়ার দাপট। আকাশ মেঘমুক্ত হলেও রোদ এতটাই মৃদু যে, উপভোগ করা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন:
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে দার্জিলিঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং কালিম্পঙে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। উত্তরবঙ্গের কোথাও আগামী সাত দিনে তাপমাত্রার পরিবর্তনের খুব একটা সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আলিপুর।
দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে কিছু কিছু জায়গায় পারদ আরও নামবে। আগামী তিন দিন রাতের তাপমাত্রায় তেমন হেরফের হবে না। তবে তার পর তাপমাত্রা কমবে আরও দুই থেকে তিন ডিগ্রি। এর পরের দু’দিনে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা আবার একইরকম থাকবে।
উত্তুরে হাওয়া এই মুহূর্তে অবাধে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করছে। তাই শীতের পথে কোনও বাধা আপাতত নেই। রাজ্য জুড়ে কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা ৯৯৯ থেকে ২০০ মিটারে নেমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আলাদা করে সতর্কতা জারি করা হয়েছে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে। এই তিন জেলায় সকালের দিকে ঘন কুয়াশা থাকতে পারে। দৃশ্যমানতা নামতে পারে ৫০ মিটারেও। একই সতর্কতা রয়েছে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে।