Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
BJP

বিজেপি বাংলার সংস্কৃতি বিরোধী, অভিযোগ তুলে রাস্তায় নামছেন নাট্যকর্মীরা

বিজেপি সরকার কোনওদিন শিল্প সংস্কৃতির পাশে দাঁড়ায়নি। তারা বাংলায় অন্য সংস্কৃতি প্রচলনের চেষ্টা করছে।

ব্রাত্য বসু ও অর্পিতা ঘোষের হাত ধরে  তৃণমূলে যোগ দিলেন নাট্যকর্মীরা।

ব্রাত্য বসু ও অর্পিতা ঘোষের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিলেন নাট্যকর্মীরা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২১ ১৮:৫৪
Share: Save:

বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি বিরোধী। তারা বাংলায় অন্য সংস্কৃতি প্রচলনের চেষ্টা করছে। গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেএ বার রাস্তায় নামছেন নাট্যকর্মীরা। শুক্রবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেএমনটাই জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষ। ঘটনাচক্রে দু’জনেই নাট্য জগতের সঙ্গে যুক্ত।

ব্রাত্য জানিয়েছেন, বিজেপি বাংলার সংস্কৃতি বিরোধী। বিজেপি সরকার কোনওদিন শিল্প সংস্কৃতির পাশে দাঁড়ায়নি। তারা বাংলায় অন্য সংস্কৃতি প্রচলনের চেষ্টা করছে। তাদের সেই প্রয়াসের বিরুদ্ধে তৃণমূলের পাশে থেকে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাবেন নাট্যকর্মীরা। প্রতিটি জেলায় নাট্যকর্মীদের নিয়ে তৃণমূল সম্মেলনও করবে। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতা থেকে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু হবে। তিনি বলেন, ‘‘মানুষের কথা তুলে ধরতে ২০১১ সাল থেকে আমরা পথনাটক করি। প্রচুর নাট্যদল এখন তাতে শামিল হয়েছে। সংখ্যাটা প্রায় ৩০০। ২০১৪ সালের লোকসভা, ২০১৬ সালের বিধানসভা ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে আমরা পথ নাটকের মাধ্যমে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেওবহু নাট্য ব্যক্তিত্ব রাস্তায় নামবে।’’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায় নাট্য সংস্কৃতি ক্ষেত্রে ১০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ব্রাত্য। তিনি বলেন, ‘‘২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকে নাট্য, সংস্কৃতি জগতের মানুষদের জন্য কিছু করেনি নরেন্দ্র মোদী সরকার। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ৪০০-র বেশি নাট্যদলকে সরকারি অনুদান দেওয়া হয়েছে।’’ শুক্রবার ব্রাত্য ও অর্পিতার হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন শেখর সমাদ্দার, গৌতম মুখোপাধ্যায়, বিজয় মুখোপাধ্যায়, দেবাশিস দত্ত, রুদ্রপ্রসাদ চক্রবর্তী-সহ অনেক নাট্য ব্যক্তিত্ব। এই যোগদান প্রসঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে ব্রাত্য বলেন, ‘‘অনেককে বিজেপি-র পতাকা ধরিয়েছেন। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের বলব, একজন গুরুত্বপূর্ণ নাট্য ব্যক্তিত্বকে বিজেপি-তে নিয়ে গিয়ে দেখান। আমার চ্যলেঞ্জ রইল।’’অর্পিতা বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যখন ৩৪ বছরের বাম সরকারের বিরোধিতা করেছিলেন, তখন তাঁদের পাশে থেকে রাস্তায় নেমেছিলেন নাটকের মানুষরা। আজকে বিজেপি-র বিরুদ্ধে আবার সরব হবে তাঁরা। বাংলার সংস্কৃতি রক্ষার জন্য শিরদাঁড়া হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে নাটকের মানুষ।’’

এর পাশাপাশি ব্রাত্য শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকেও কটাক্ষের আঙুল তুলেছেন। নেতাজি জয়ন্তীর দিন প্রধানমন্ত্রী ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নিজের বক্তৃতায় মতুয়াদের হরিচাঁদ ঠাকুরকে হরিশচন্দ্র ঠাকুর বলে উল্লেখ করেছিলেন। সে প্রসঙ্গ তুলে ব্রাত্য বলেন, ‘‘মতুয়া ভাইয়েরা একবার অমিত শাহকে কালো পতাকা দেখান। গুজরাত থেকে এসে আমাদের গুরুকে অপমান করবেন না। একজন হিন্দু হয়ে হিন্দু দেবতাকে কেউ অপমান করলে কেন আমি ছেড়ে দেব! রামচন্দ্রকে অপমান করা যদি দোষের হয়, তাহলে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের নাম ভুল বলাটাও দোষের।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE