বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের আক্রমণের জবাব দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র তথা বর্ষীয়ান বিধায়ক তাপস রায়। ফাইল চিত্র।
রাজ্যের পুলিশ আধিকারিকের বাড়িতে হানা দিয়েছে দুর্নীতি দমন শাখা। সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে শাসকদল তৃণমূলকে আক্রমণ করে বসলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতর্ভ্রমণে আসেন তিনি। সেখানেই সংবাদ মাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন,
“রাজ্যের তিন আইসির বাড়িতে তল্লাশি ভালো কথা। তবে রাজ্যের তরফে যে চেষ্টা করা হচ্ছে, এটা আগে করা হলে রাজ্যকে বদনাম হতে হত না। কেউ সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়।” তিনি আরও বলেন, “এরা তো টাকা তুলে পার্টিকে দেয়। হয়তো সিবিআই তদন্তের কথা রয়েছে, তাই এদের তল্লাশি করা হচ্ছে।” সম্প্রতি লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পকে কটাক্ষ করতে গিয়ে রাজ্যের মানুষকে ভিখারি বলেছিলেন দিলীপ। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। তাঁর সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে আক্রমণ শানিয়ে ছিল তৃণমূল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও আক্রমণাত্মক হলেন দিলীপ।
দিলীপের এমন আক্রমণের জবাবে তৃণমূল মুখপাত্র তথা বর্ষীয়ান বিধায়ক তাপস রায় বলেন, “আমার তো মনে হয় সিবিআইকে দিয়ে দিলীপ ঘোষেরা এমন সব কাজ করান। নিজের সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করছেন।” তাঁর আরও সংযোজন, “রাজ্যে কোথাও কোথাও অন্যায়, দুর্নীতি বা কোন রকম অনৈতিক ঘটনা ঘটলে রাজ্য প্রশাসন যে কড়া ব্যবস্থা নেয়, পুলিশের বাড়িতে দুর্নীতি দমন শাখার হানা দেওয়ার ঘটনা তারই প্রমাণ। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিলীপ ঘোষের ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। কিন্তু সেসব না করে অযথা কুৎসা করে বেড়াচ্ছেন।” প্রসঙ্গত, সোমবার শিলিগুড়িতে পুলিশের দুই ইনস্পেক্টর ইনচার্জের (আইসি) বাড়িতে হানা দেয় রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা। অফিসারদের ফ্ল্যাটে, বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথিপত্র, টাকা, সোনা উদ্ধার হয়েছে। বেশ কয়েক দিন ধরেই ওই দুই অফিসারের উপরে নজর রেখেছিল দুর্নীতি দমন শাখা। আরও কয়েক জন অফিসার সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু হয়েছে বলে খবর। চাঁচল থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুমার কুন্ডু ও শিলিগুড়ির মাটিগাড়া থানার আইসি সমীর দেওসার ফ্ল্যাটে অভিযান চালানো হয়েছে। সেই অভিযান নিয়ে মন্তব্য পাল্টা মন্তব্যে জড়ালেন দিলীপ-তাপস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy