গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্য বনাম রাজ্যপাল সঙ্ঘাতে অপ্রত্যাশিত মোড়। এ বার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে বিঁধে টুইট করলেন বরখাস্ত হওয়া বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। প্রশ্ন তুললেন, রাজ্য-রাজ্যপাল সঙ্ঘাতে বাংলা উপকৃত হচ্ছে কি? মানুষ রাজ্যপালের কাছে আরও রাজপুরুষোচিত (স্টেটসম্যান) আচরণ প্রত্যাশা করে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছেন জয়প্রকাশ। সাংবাদিক বৈঠক করে নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। দল তাঁকে বরখাস্তও করেছে।
@jdhankhar1
— Jay Prakash Majumdar (@jay_majumdar) February 4, 2022
Does our beloved West Bengal benefit from your confrontations with the State administration?
Are media & tweets viable means for resolving such disputes?
Isn't your stand actually providing sympathy to the ruling party?
People expect statesmanship from a Governor. https://t.co/uBtaeQZz4K
বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অমরনাথ কে-এর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর প্রকাশ্য কথোপকথনে উঠে এসেছিল রাজ্যপালের ফোনের প্রসঙ্গ। তা নিয়ে আইপিএস সংগঠনকে ট্যাগ করে টুইটও করেছিলেন রাজ্যপাল। এ বার সেই প্রসঙ্গে রাজ্যপালকেই বিঁধলেন সম্প্রতি বরখাস্ত বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ। ধনখড়ের এই সংক্রান্ত টুইটকে রেখে তিনি আরও একটি টুইটে লেখেন, ‘রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে আপনার দ্বন্দ্বে রাজ্য উপকৃত হচ্ছে কি?’
ঘন ঘন তাঁকে ট্যাগ করে টুইট করার জন্য যে রাজ্যপালকে টুইটারে ব্লক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, সেই জগদীপ ধনখড়কেই জয়প্রকাশের প্রশ্ন, ‘টুইটার ও মিডিয়াকে ব্যবহার করে কি এই দ্বন্দ্ব মেটানো যায়? আপনার অবস্থান কি আসলে শাসক দলের প্রতিই মানুষের সহানুভূতি বাড়িয়ে দিচ্ছে না?’ শেষে তিনি লিখেছেন, ‘মানুষ রাজ্যপালের কাছে আরও রাজপুরুষোচিত আচরণ প্রত্যাশা করে।’
এত দিন রাজ্য বনাম রাজ্যপালের দ্বন্দ্বে প্রত্যাশিত ভাবেই রাজভবনের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি। বৃহস্পতিবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এই অবস্থায় বিজেপি থেকে বরখাস্ত হওয়া জয়প্রকাশের এই বয়ানে টুইটকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy