দুপুর থেকেই আশাহত বিজেপি। — ফাইল চিত্র।
মনোনয়ন পর্বে সন্ত্রাসের অভিযোগ ছিল। প্রচার পর্ব থেকে ভোটগ্রহণের দিনও একই ভাবে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তবে তারই মধ্যে কয়েকটি জায়গার ভোটে ভাল ফলের আশা ছিল রাজ্য বিজেপির। তার মধ্যে সবচেয়ে উত্তরবঙ্গের উপরে ভরসা ছিল। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাথমিক ফল দেখেই জেলা পরিষদ দখলের আশা আর রাখতে চাইছেন না বিজেপি নেতারা।
দুপুর ২টো পর্যন্ত যা ফল তাতে আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল যেখানে গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭০ আসনে জিতেছে সেখানে বিজেপির জয় মাত্র ৪২টিতে। কোচবিহার সেই সংখ্যাটা যথাক্রমে ১৮৭ এবং ৪৭ আর জলপাইগুড়িতে ৭৪ ও ২৫। এই তিন জেলা নিয়েই বিজেপি সবচেয়ে বেশি আশায় ছিল। এর পরে দুই দিনাজপুর নিয়েও বিজেপি ভাল ফলের আশায় ছিল। কিন্তু দেখা গিয়েছে এই দুই জেলাতেও বিজেপি তৃণমূলের চেয়ে অনেক পিছিয়ে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা উত্তর দিনাজপুরে। দুপুর ২টো পর্যন্ত তৃণমূল জিতেছে ৩০৯টি আসন। আর বিজেপি ১০টি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূল ৬৬ আর বিজেপি ২৯।
উত্তরের আর এক জেলায় বিজেপির কিছুটা ভাল ফল হতে পারে বলে আশা করেছিল গেরুয়া শিবির। সেখানে গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭৩ আসনে জয়ী তৃণমূল। সেখানে বিজেপির জয় মাত্র ৫৭ আসনে।
উত্তরের এমন ফল নিয়ে আপাতত মুখ খুলছেন না বিজেপির শীর্ষনেতারা। তবে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে আত্মসমালোচনা। এক নেতার বক্তব্য, ‘‘আমাদের সংগঠন যে কতটা দুর্বল তার প্রমাণ পাওয়া গেল পঞ্চায়েত নির্বাচনে। তৃণমূলের সন্ত্রাস, পুলিশের অসহযোগিতা যে থাকবে তা তো আগে থেকেই জানা ছিল। কিন্তু তা মোকাবিলার মতো সংগঠন খাতায়কলমে থাকলেও বাস্তবে ছিল না।’’ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যে মঙ্গলবারও অভিযোগ করেছেন যে জেলায় জেলায় গণনায় কারচুপি চলছে, বিজেপির এজেন্টদের উপরে অত্যাচার হচ্ছে। তবে রাজ্য বিজেপির একাংশই বলছেন, উত্তরের যে সব জায়াগায় বিজেপি গত লোকসভায় জিতেছে, বিধানসভায় তুলনামূলক ভাবে ভাল ফল করেছে, সেখানে গ্রাম পঞ্চায়েতে এত খারাপ ফল আশাই করা যায় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy