দিন বদলে প্রস্তুতি শুরু বিজেপির। ফাইল চিত্র
পুজোর আগেই নবান্ন অভিযান কর্মসূচি নিতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। আগে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ঘোষণা করেছিলেন ৭ সেপ্টেম্বর হবে ওই কর্মসূচি। কিন্তু ওই দিন করম পরব হওয়ায় তা বাতিল হয়ে যায়। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়া। তার আগে থাকতেই রাজ্যে, বিশেষ করে কলকাতায় পুজোর আবহ তৈরি হয়ে যায়। তাই কবে বিজেপির ওই কর্মসূচি হবে তা নিয়ে জল্পনা ছিল। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৩ সেপ্টম্বর নতুন দিন ঠিক হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি তার ঘোষণাও করা হবে।
রাজ্য বিজেপির এক নেতা জানিয়েছেন, আগে থাকতেই নবান্ন অভিযান কর্মসূচির প্রস্তুতি চলছিল। ৭ সেপ্টেম্বর করা হবে বলে ঠিকও হয়েছিল। তবে স্থগিত হওয়ার পরেও প্রস্তুতি বন্ধ করা হয়নি। এখন নতুন দিন ঘোষণার আগে ফের সেই প্রস্তুতিতে জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, আগামী ১৩ সেপ্টম্বর, মঙ্গলবার দুপুর ১টা নাগাদ কলকাতার বিভিন্ন জায়গা থেকে মিছিল শুরু হবে। সব মিছিলেরই গন্তব্য হবে হাওড়ার নবান্ন। পথে পুলিশ বাধা দিলে কোথায়, কী করা হবে তার রূপরেখাও ঠিক করছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব।
সোমবার কলকাতায় বিজেপির হেস্টিংস দফতরে রাজ্য কমিটির নেতারা বৈঠকে বসেন। সেখানে রাজ্যের পর্যবেক্ষক হিসাবে নতুন দায়িত্ব পাওয়া সুনীল বনসলের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি আসতে পারেননি। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, শারীরিক অসুস্থতার জন্য বনসল ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে না পারলেও নবান্ন অভিযান কর্মসূচির আগেই তিনি বাংলায় আসবেন। মঙ্গলবারও হেস্টিংস দফতরে দলের বিভিন্ন মোর্চা ও সেলের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসার কথা বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের। সেটাও নবান্ন কর্মসূচিকে সফল করার লক্ষ্য নিয়েই।
এখন বিজেপি জেলায় জেলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে মিছিল, জনসভা করছে। এর পরে নবান্ন অভিযানের জন্যও একই ভাবে জেলায় জেলায় কর্মসূচি নেওয়া হবে। প্রতিটি জেলার দায়িত্ব আলাদা আলাদা করে রাজ্য নেতাদের মধ্যে ভাগ করা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। রাজ্য বিজেপির লক্ষ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই কর্মসূচিতে যাতে গ্রামের কর্মী, সমর্থকদের বেশি করে কলকাতায় আনা যায় সেই লক্ষ্য নেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের ফলের নিরিখে, জঙ্গলমহল এলাকায় বিজেপি বেশি সমর্থন পেয়েছে। ওই এলাকাতেই মূলত করম পরব অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। সেই কারণেই করম পরবের ঘোষণা হতেই কর্মসূচি পিছনোর সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের লক্ষ্য, ওই কর্মসূচিতে বেশি করে আদিবাসী এলাকার মানুষকেও শামিল করা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy