কেন্দ্রীয়বাহিনীর জওয়ানদের প্রবেশের দাবিতে স্পিকারকে চিঠি মিহির গোস্বামীর। ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিধানসভার অন্দরে ঢুকতে দেওয়া হোক। এমনই দাবি জানিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী। মেল করে চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি স্পিড পোস্টেও চিঠিটি পাঠিয়েছেন তিনি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আলোচনার পরেই এই চিঠিটি পাঠানো হয়েছে বলে বিজেপি পরিষদীয় দল সূত্রে খবর। চিঠিতে নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক লিখেছেন, বিধায়কদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বিধানসভার বাইরে খোলা আকাশের নীচে বসেন। বাইরে বসেই তাঁদের রোদ, বৃষ্টি সহ্য করতে হয়। অথচ, রাজ্য নিরাপত্তারক্ষীবাহিনীর বিধানসভার অন্দরে প্রবেশের অনুমতি রয়েছে। এমন সিদ্ধান্তের ফলে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীবাহিনীর অমর্যাদা হচ্ছে।
এমন সব কারণ দেখিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বিধানসভার অন্দরে প্রবেশের অনুমতি চেয়েছেন মিহির। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বিধানসভার বাইরে বসেন। এমন সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গের মতো একটি ঐতিহ্যশালী রাজ্যের কাছে লজ্জার। তাই অবিলম্বে স্পিকার তাঁদের বিধানসভার অন্দরে প্রবেশের অনুমতি দিন।’’ প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভার নির্বাচনের পর নন্দীগ্রাম বিধায়ক শুভেন্দু শপথ নিতে এলে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর নিরাপত্তায় মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বচসার ঘটনা ঘটে। তারপরেই স্পিকার নির্দেশিকা জারি করে বিধানসভার অন্দরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেন। বাজেট ও শীতকালীন অধিবেশনে বিজেপি বিধায়কদের নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বিধানসভার বাইরে তৈরি করা অস্থায়ী ছাউনিতে বসেন। যদিও বিজেপি-র দাবি, ছোট এই ছাউনিতে সবার জায়গা হয় না। ফের তাঁদের বিধানসভার অন্দরে প্রবেশের দাবি উঠল। কারণ প্রসঙ্গে মিহির বলেন, ‘‘অধিবেশন ছাড়াও সারা বছর বিধায়করা বিধানসভার নানা বৈঠকে যোগ দিতে বিধানসভায় আসেন। সেই সময় ঝড়, জল, বৃষ্টি, রোদের মধ্যে তাঁদেরই বিধানসভার ফুটপাতে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তাই বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও দেখা উচিত।
তবে বিধানসভা সূত্রে খবর, বিজেপি বিধায়কের এই দাবি মেনে নেওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। এ দিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিধানসভার অন্দরে প্রবেশ করতে না দেওয়া হলে, আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy