কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মেনে বেআইনি ভাবে থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদের তাঁদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়ায় রাজ্য যথেষ্ট সক্রিয় নয়, এমন অভিযোগে সোমবার সব জেলায় জেলাশাসকদের দফতরে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। তেমনই একটি কর্মসূচি থেকে বিশিষ্টজনদের একাংশকে নিশানা করলেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য!
হুগলির চুঁচুড়ায় দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে শমীক বলেছেন, “নাট্যকার, কবি, সাহিত্যকেরা আছেন। বাড়ি তো সব ও-পারে (বাংলাদেশে)! ধাক্কা দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে। এ-পারে এসে ধর্ম নিরপেক্ষতার বুলি। প্রতিবাদ নেই। ওঁদের (পূর্ববঙ্গ থেকে আসা) বাঁচিয়েছেন ঘটিরা! বাঙালদের এগোতে হবে এ বার!” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী তথা নাট্যব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসুকেও নিশানা করেছেন শমীক। বলেছেন, “ওখানে ব্রাত্যজন ‘রুদ্ধসঙ্গীত’ করতে পারেনি! মুখ্যমন্ত্রী বাংলাকে পশ্চিম পাকিস্তান না পশ্চিম বাংলাদেশ বানাবেন, সেটা ওঁর ব্যাপার।”
শমীকের বক্তব্য প্রসঙ্গে পাল্টা সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, “যে সাভারকর ধর্মের ভিত্তিতে ভারত ভাগ চেয়েছিলেন, তাঁর শিষ্য শ্যামাপ্রসাদ বাংলা ভাগে অগ্রণী ছিলেন। ৭৭ বছর পরে ঘটি-বাঙাল আলাদা করার চেষ্টা ধর্মান্ধতা ছাড়া কিছু নেই।”
বিজেপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এ দিন বর্ধমান সদর ও রায়গঞ্জে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি বেধেছিল। বাঁকুড়া, নদিয়াতে জেলাশাসকেরা প্রথমে দাবিপত্র নিতে চাননি বলে অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের। পরে অবশ্য নদিয়ার জেলাশাসক এস অরুণপ্রসাদ এবং বাঁকুড়াতে অতিরিক্ত জেলাশাসক দাবিপত্র নিয়েছেন। কলকাতায় ডিসি সেন্ট্রাল ও আলিপুরে জেলাশাসকের দফতরে একই কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। বিজেপির এই কর্মসূচি নিয়ে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশের পাল্টা বক্তব্য, “পাকিস্তানিরা এলেন, রইলেন কী ভাবে, সেই প্রশ্নের জবাব দিন আগে।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)