দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ রাজ্য বিজেপিকে লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছেন, আগামী লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গ থেকে অন্তত ২২টি আসন জিততেই হবে। সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিংহ রবিবার কলকাতায় দাবি করলেন, ‘‘লোকসভা ভোটে এ রাজ্যে অন্তত ২৫টি আসন পাবে বিজেপি। কারণ, বুথ স্তরে বিজেপির সংগঠন শক্তিশালী হয়েছে। বিজেপি রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠেছে।’’ তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘যাঁদের ভরসায় উনি এ সব বলছেন, তাঁরাই ওঁর মুখ পোড়াবেন! উনি যখন দায়িত্বে ছিলেন, সেই সময়ের থেকে আরও খারাপ অবস্থা হয়েছে বিজেপির। একটা আসন পায় কি না, সন্দেহ!’’
গিরিশ পার্কের অসওয়াল ভবনে বিজেপির আইটি এবং মিডিয়া সেলের বৈঠক উদ্বোধন করেন সিদ্ধার্থনাথ। রাজ্য বিজেপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক সপ্তর্ষি চৌধুরী সম্পর্কে দলের সহ-সভাপতি চন্দ্র বসু শনিবার গভীর রাতে টুইট করেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে এই ফালতু মিডিয়া টিম কে নিয়োগ করেছেন? এই অপদার্থ সপ্তর্ষিকে বরখাস্ত করুন। না হলে আমি লাথি মেরে ওকে বাংলার বাইরে বের করে দেব’। বিষয়টি এ দিন ওই বৈঠকে দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন এবং সর্বভারতীয় নেতা অমিত মালব্যের নজরে আনা হয়। সপ্তর্ষি পরে বলেন, ‘‘আমার প্রশ্ন একটাই— একটা দলে থেকে কি এমন কথা বলা যায়?’’
বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির বৈঠকে এ দিনই দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘রথযাত্রার মধ্য দিয়ে যুব কর্মীদের ভবিষ্যতের নেতা হিসাবে তৈরি হওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা এটা কাজে লাগাবেন।’’ অধীর চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ, প্রদেশ কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের কো-অর্ডিনেটর অনুপম ঘোষ এ দিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীকে চিঠি লিখে তিনি জানিয়েছেন, প্রদেশ কংগ্রেসের সাম্প্রতিক কাজকর্মে বীতশ্রদ্ধ হয়ে তিনি দল ছাড়লেন। অনুপমের কথায়, ‘‘অদূর ভবিষ্যতে বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইটা বিজেপিই করবে।’’