দিল্লিতে ২৭ বছর পরে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। তার পরের দিনই বাংলায় এসে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান দাবি করলেন, ২০২৬ সালে বিজেপি এ রাজ্যেও ক্ষমতায় আসবে। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর দাবিকে অবশ্য নস্যাৎ করে দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
বিধাননগরের একটি হোটেলে রবিবার বিজেপির তরফে বাজেট নিয়ে আলোচনায় ছিলেন ধর্মেন্দ্র। সেখানেই তিনি রাজ্যের শাসক দলের তোলা বাজেটে ‘বঞ্চনা’র অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, “দেশের জন্য এই বাজেট। তার পাশাপাশি রাজ্যে প্রকল্পগুলির জন্য মোদীজি (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী) পাছে কৃতিত্ব নিয়ে যান, তাই তৃণমূল ভয় পাচ্ছে!” এই বাজেটে নেতিবাচকতার জায়গা নেই বলে দাবি করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘২০২৬ সালে মানুষ এই নেতিবাচকতাকে ছুড়ে ফেলে দেবে। রাজ্যে বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।’’ ধর্মেন্দ্রের ব্যাখ্যা, “২০১৯ সাল থেকে আমরা রাজ্যের একমাত্র বিরোধী দল হিসেবে তিনটি নির্বাচনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছি। আমাদের কাছে ৩৮ থেকে ৪০% ভোট আছে। আর পাঁচ শতাংশ ভোট দরকার। তা হলেই বাংলায় পরিবর্তন আসবে।” দিল্লি জয়ের পরে বাংলা যে তাঁদের পাখির চোখ, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন ধর্মেন্দ্র। তাঁর কথায়, “মোদীজি বারবার বলেন পূর্বোদয়ের কথা। তবেই ভারতের বিকাশ সম্ভব। বিহার, ওড়িশা জিতেছি। পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপির সরকার হবে। আমরা আগামী দিনে ঝাড়খণ্ডেও জিততে চাই।” রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য পাল্টা কটাক্ষ করেছেন, “এখানে আমরা বহু ধর্মেন্দ্র, রাজেন্দ্র, বীরেন্দ্র, বচ্চনেন্দ্র দেখেছি! বাংলার ভোট হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে তাকিয়ে। দিল্লি, বোম্বে কোনও ‘ফ্যাক্টর’ নয়।’’
বাজেট প্রসঙ্গে ধর্মেন্দ্র এ দিন দাবি করেছেন, “এই রাজ্যের যুবরাজের বক্তব্য সংসদে শুনলাম। বিরোধিতা করার জন্য কিছু কথা তিনি বললেন। কিন্তু সেই বক্তব্যে জোর নেই। নবোদয় বিদ্যালয় থেকে গ্যাস পাইপ লাইন, মেট্রো প্রকল্প—সব কিছুতে রাজ্যের অসহযোগিতার কারণে কাজ থেমে আছে।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)