মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।
আগামী ৩০ জুলাই মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের বিষয়ে দ্বিতীয় শুনানি। কিন্তু বিষয়টির দ্রুত নিষ্পত্তি চাইছে বিজেপি পরিষদীয় দল। তাই মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত দ্বিতীয় শুনানিতেই বুঝে নিতে চাইছে বিজেপি পরিষদীয় দল। সূত্রের খবর, দ্বিতীয় শুনানির পরেই তাঁরা মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজ করতে আদালতের দ্বারস্থ হতে চায়। এ বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আইনজীবীদের সঙ্গে যেমন আলোচনা করেছেন, তেমনই আলোচনা করেছেন পরিষদীয় দলের সদস্যদের সঙ্গেও।
সেক্ষেত্রে এবার কলকাতা হাইকোর্টে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের মামলা করবেন বিরোধী দলনেতাই। এক্ষেত্রে বিজেপি পরিষদীয় দল একটি ঘটনাকেই উদাহারণ হিসেবে দেখছে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস সমর্থিত বামফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে মালদহের গাজোল আসন থেকে জয় পান সিপিএমের দীপালি বিশ্বাস। কিন্তু ওই বছরই ২১ জুলাই ধর্মতলার শহিদ দিবসের মঞ্চে যোগ দেন তৃণমূলে। এমন ঘটনার পরেই তৎকালীন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী স্পিকারের কাছে তাঁর বিধায়কপদ খারিজের আবেদন জানান। বিজেপি পরিষদীয় দলের দাবি, দীপালির ক্ষেত্রে ২৩ বার শুনানি হলেও, বিষয়টির কোনও নিষ্পত্তি হয়নি। তাই কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুলের ক্ষেত্রে অহেতুক সময় নষ্ট করতে নারাজ তাঁরা।
২ মে বিজেপি-র টিকিটে জিতে ১১ জুন তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল। তারপরেই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে স্পিকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। ১৬ জুলাই প্রথম দফায় শুনানি হয়েছে। দ্বিতীয় শুনানি ৩০ তারিখে। ইতিমধ্যে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদে মুকুলের নিয়োগের বিরুদ্ধেও আদালতে মামলা করেছে বিজেপি। মামলাটি দায়ের করেছেন কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy