প্রতীকী ছবি।
‘বন্দে মাতরম্’-এর স্রষ্টা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন পালনে উদ্যোগী হল বিজেপি। বিষয়টিকে গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা দিতে কলকাতায় বঙ্কিমচন্দ্রের জন্মদিবস পালন অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। ২৭ জুন ওই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা।
বঙ্কিমচন্দ্র প্রথম ‘বন্দে মাতরম্’ কবিতাটি লেখেন বঙ্গদর্শনে। পরে তা ব্যবহার করা হয় ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসে। তারও পরে তাতে সুরারোপ করে গান গাওয়া হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ওঙ্কারনাথ ঠাকুর, তিমিরবরণ ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে এ আর রহমান পর্যন্ত অনেকেই বন্দে মাতরম্-এ সুর দিয়েছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, নাটকে, চলচ্চিত্রে তা গাওয়া হয়েছে। আনন্দমঠ ছবিতে এই গানটি রয়েছে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গীত পরিচালনায়।
বঙ্কিমচন্দ্রের ‘আনন্দমঠ’কে ‘সাম্প্রদায়িক’ তকমা দিয়ে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল সিপিএম। অভিজ্ঞ মহলের মতে, ‘আনন্দমঠ’-এর স্রষ্টাকে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির উৎসাহের পিছনেও রাজনীতি রয়েছে। তবে তা ‘পক্ষে’র। অনেকের ধারণা, এই রাজ্যে রাম-হনুমান নিয়ে বিজেপির মাতামাতি বিশেষ দাগ কাটতে পারেনি। বরং, তাতে হানাহানির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, যা তাদের বিরুদ্ধে গিয়েছে। এ বার তাই শিক্ষিত বাঙালির মন পেতে বঙ্কিম-ভরসা।
বঙ্কিম উৎসবের বিশদ কর্মসূচি এখনও ঘোষণা হয়নি। সূত্রের খবর, উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের এক বিশিষ্ট শিল্পীকে দিয়ে ওই উৎসবে ‘বন্দে মাতরম’ গাওয়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। কে সেই শিল্পী? তা নিয়ে মুখ খোলেননি কেউ। তবে বিজেপির অন্দরে গুঞ্জন, রাশিদ খানের নাম বিবেচনায় রয়েছে। এর আগে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত কলকাতায় এসে সৌজন্য সাক্ষাতে রাশিদের বাড়ি গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই এই জল্পনার সূত্রপাত।
রাশিদ ‘বন্দে মাতরম্’ গাইবার ডাক পেলে কোন সুরে গাইবেন? বুধবার রাতে তিনি বলেন, ‘‘এমন ডাক আমি এখনও পাইনি। একটি অ্যালবামে আমি হংসধ্বনি রাগে বন্দে মাতরম্ গেয়েছি। খুব ভাল লেগেছে। কিন্তু কোনও খোলা মঞ্চে গাইতে হলে হয়ত দেশ রাগে গাইব। কারণ সেই সুরটিই মানুষ বেশি শুনতে অভ্যস্ত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy