Advertisement
E-Paper

বসিরহাটের পথ ধরে আবার বিধানসভায়

লোকসভা ভোটের মতো দেশ জুড়ে মোদী-হাওয়ার প্রাবল্য তেমন নেই। এ রাজ্যে দলের সংগঠনও সর্বত্র তেমন ভাবে দানা বাঁধেনি। অথচ একক ভাবে লড়ে এই প্রথম বার রাজ্য বিধানসভায় প্রতিনিধি পাঠাল বিজেপি (এর আগে তৃণমূলের জোটসঙ্গী হয়ে একটি আসনে জিতেছিল তারা)! লোকসভা ভোটের সময় থেকে রাজ্যের অন্যতম প্রধান বিরোধী শক্তি হিসেবে তাদের যে উত্থান হচ্ছিল, তাতেই আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পড়ল এ বার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:২৫
মাতোয়ারা। জয়ের পর বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্রে বিজেপি সমর্থকেরা। ছবি: নির্মল বসু

মাতোয়ারা। জয়ের পর বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্রে বিজেপি সমর্থকেরা। ছবি: নির্মল বসু

লোকসভা ভোটের মতো দেশ জুড়ে মোদী-হাওয়ার প্রাবল্য তেমন নেই। এ রাজ্যে দলের সংগঠনও সর্বত্র তেমন ভাবে দানা বাঁধেনি। অথচ একক ভাবে লড়ে এই প্রথম বার রাজ্য বিধানসভায় প্রতিনিধি পাঠাল বিজেপি (এর আগে তৃণমূলের জোটসঙ্গী হয়ে একটি আসনে জিতেছিল তারা)! লোকসভা ভোটের সময় থেকে রাজ্যের অন্যতম প্রধান বিরোধী শক্তি হিসেবে তাদের যে উত্থান হচ্ছিল, তাতেই আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পড়ল এ বার।

উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ১৫৮৬ ভোটে জয়ী হয়েছেন বিজেপির রাজ্য নেতা শমীক ভট্টাচার্য। এটা ঠিক যে, চার মাস আগের লোকসভা ভোটে এই বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে ৩২ হাজারের বেশি ভোটে ‘লিড’ পেয়েছিলেন শমীক নিজেই। কিন্তু মোদী-হাওয়ার অনুপস্থিতি ও সাংগঠনিক সীমাবদ্ধতার কথা মাথায় রাখলে এই উপনির্বাচনে দেড় হাজার ভোটে জয়টা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। চৌরঙ্গি বিধানসভা কেন্দ্রেও বাম-কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে দু’নম্বর স্থানে এসেছে বিজেপি। লোকসভা ভোটে রাজ্যে দু’টি আসন জয় এবং ১৭% ভোটের ভিতকে যে তারা ভাল ভাবেই কাজে লাগিয়েছে, মঙ্গলবার তা প্রমাণ হল।

বিজেপির সাড়ে তিন দশকের ইতিহাসে পশ্চিমবঙ্গে বিধায়কপ্রাপ্তি এই নিয়ে দ্বিতীয় বার। এর আগে ১৯৯৯ সালে এই উত্তর ২৪ পরগনা জেলারই অশোকনগর কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন বাদল ভট্টাচার্য। কিন্তু তখন এনডিএ-র জোটসঙ্গী হিসেবে তৃণমূল ছিল তাদের পাশে। সেই অর্থে দেখতে গেলে বহু বছর আগে জনসঙ্ঘের হরিপদ ভারতীর পরে এই প্রথম একক ভাবে বিধানসভায় প্রতিনিধি পাঠাতে পারল বিজেপি। এবং সেই কারণেই তাদের এই জয়ের গুরুত্ব আলাদা। উপনির্বাচনের এই ফলকে সারদা-কাণ্ড, নারী নিগ্রহ, শিল্পের মন্দা-সহ তৃণমূল সরকারের সার্বিক ব্যর্থতার পরিণতি এবং ‘পরিবর্তনের পরিবর্তন’-এর ইঙ্গিত হিসেবেই দেখছেন দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ।

তৃণমূল অবশ্য প্রত্যাশিত ভাবেই এমন দাবি মানতে নারাজ। শাসক দলের নেতাদের মতে, এই উপনির্বাচনে বিজেপির থেকে তাঁদের স্বস্তিই বেশি। কারণ হিসেবে তাঁরা বসিরহাট দক্ষিণ এবং চৌরঙ্গি, দুই আসনেই গত লোকসভা ভোটের নিরিখে তৃণমূলের বিপুল ভোটবৃদ্ধিকে তুলে ধরছেন। পক্ষান্তরে এই দুই কেন্দ্রেই বিজেপির ভোট কমেছে ১% করে। বসিরহাটে লোকসভা ভোটে তৃণমূল সাড়ে ৩২ হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিল বিজেপির থেকে। দলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাবি, “নৈতিক ভাবে জিতেছি তো আমরাই। যে ব্যবধান মিটিয়ে অল্প ভোটে হেরেছি, তার মানে আমরা ২৮ হাজার ভোটে জিতেছি।”

লোকসভা ভোটের নিরিখে চৌরঙ্গিতেও কংগ্রেসের থেকে দেড় হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। সেই ব্যবধান মুছে ফেলে ১৪ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরণী নয়না। আর এই দুই ফল থেকেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের দাবি, সারদা কাণ্ডের কোনও প্রভাবই পড়েনি। তাঁর কথায়, “সাম্প্রতিক কালে প্রতিটি ভোটের আগে সারদা নিয়ে প্রচার হয়েছে। কোনও বারই মানুষ সেই প্রচারকে গুরুত্ব দেননি। এ বারও দিলেন না।”

প্রকাশ্যে এ কথা বললেও ভিতরে ভিতরে কিন্তু মোটেই স্বস্তিতে নেই তৃণমূল নেতারা। দলীয় সূত্রই বলছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্বস্তির প্রথম কারণ, বিধানসভায় বিজেপির আত্মপ্রকাশ। একই সঙ্গে তিনি বুঝতে পারছেন, রাজ্য জুড়ে তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে যে হাওয়া উঠেছে, তার বিরুদ্ধে কোনও সঙ্গী ছাড়া দীর্ঘদিন লড়াই করাটা সম্ভব না-ও হতে পারে। বিধানসভা ভোটের আগেই তাই রণকৌশল নিয়ে নতুন করে ভাবতে হতে পারে তৃণমূল নেত্রীকে।

উদ্বেগের কারণ বিশ্লেষণ করে তৃণমূল সূত্র বলছে, শতকরা নিরিখে ভোটবৃদ্ধি যতটাই চমকপ্রদ দেখাক, উপনির্বাচনের স্বাভাবিক প্রবণতাই হল শাসক দলের দাপট। বাম জমানাতেও এমন ছবিই দেখা যেত। উপনির্বাচন বলেই শাসক দল তাদের লোকলস্কর এবং প্রশাসনিক যন্ত্র এক জায়গাতেই ব্যবহার করতে পারে। সেই হিসেবে তৃণমূল বসিরহাটে প্রায় হত্যে দিয়ে পড়ে ছিল। জেলার প্রায় সব বিধায়ক ও নেতা-মন্ত্রীদের নিয়ে ঘাঁটি গেড়েছিলেন মুকুল রায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকেরা। তাতেও যখন শেষরক্ষা হল না, তখন রাজ্য জুড়ে বিধানসভায় ফল আরও খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক।

কিন্তু এ দফায় তৃণমূলের ভোট বাড়ল কী করে? প্রাথমিক হিসেব বলছে, বসিরহাটে বামেদের ভোট অনেকটাই গিয়েছে তৃণমূলের দিকে। অল্প হলেও একই ঘটনা ঘটেছে কংগ্রেসের ক্ষেত্রেও। দু’দলের নেতাদের একাংশের বক্তব্য, সংখ্যালঘু ভোটেরই একটা অংশ বাম এবং কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলের দিকে গিয়েছে। যে কারণে টানা ৩৭ বছর দখলে রাখা বসিরহাট দক্ষিণ আসনে সিপিএম প্রার্থী জামানত খোয়ানোর পাশাপাশি লোকসভার তুলনায় প্রায় ৮% ভোট কম পেয়েছেন। কংগ্রেস সেখানে লোকসভার প্রায় সমান ১১.৫১% ভোট পেলেও তাদেরও জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে!

আবার চৌরঙ্গির সংখ্যালঘু-অধ্যুষিত দুই ওয়ার্ডে লোকসভায় কংগ্রেসের লিড থাকলেও তা ছাপিয়ে এ বার এগিয়ে যেতে পেরেছে তৃণমূল। আর সিপিএম লোকসভার সময়কার প্রায় ৯% ভোট ধরে রাখলেও তাদের প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

রাজ্যে বিজেপি-র উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে ভোটের মেরুকরণের ছবি যত স্পষ্ট হচ্ছে, ততই জল্পনা হচ্ছে আগামী দিনের রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে। প্রশ্ন উঠছে, আগামী বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলকে ঠেকাতে কি বিরোধীদের মহাজোট হতে পারে? যে হেতু লোকসভার মতো এই উপনির্বাচনেও দেখা যাচ্ছে, তৃণমূলের চেয়ে তিন বিরোধী দলের মোট প্রাপ্ত ভোট বেশি, তাই মহাজোটের যুক্তির কথা বলছেন অনেকে। যদিও বিজেপি-বাম-কংগ্রেস সন্ধির কোনও তাত্ত্বিক সম্ভাবনাও এখনও দেখা যাচ্ছে না।

পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী দীপেন্দু বিশ্বাসকে জয়ী বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্যের আলিঙ্গন। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক

ফল ঘোষণার পরে সাংবাদিক বৈঠকে মুকুল রায়। মঙ্গলবার। ছবি: শৌভিক দে

এর পরেও জল্পনা চলছে আরও দু’টি সম্ভাবনা নিয়ে। তৃণমূল এবং বিজেপি, এই জোড়া বিপদের মোকাবিলায় ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি হিসাবে কংগ্রেস এবং বামেদের কি সমঝোতা হতে পারে? কংগ্রেস এবং সিপিএম, দু’দলের অন্দরেই অবশ্য এই প্রশ্নে জোরালো দ্বিমত আছে। আবার চর্চা হচ্ছে ফের কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের সম্ভাবনা নিয়েও। কংগ্রেস এমনিতেই অধিকাংশ জেলায় কোণঠাসা এবং ভাঙন-দুর্গত। এই অবস্থায় আগামী পুরভোটের সময় মমতা যদি কংগ্রেসকে সঙ্গে নেন, নিজের শর্তেই তিনি জোট করে ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতে পারবেন। কংগ্রেসও এই পথে কিছুটা হলেও ভাঙন রুখতে পারবে। সমস্ত সম্ভাবনাই অবশ্য এখনও জল্পনার স্তরে।

আপাতত শাসক ও বিরোধীরা বেশি কাটাছেঁড়া চালাচ্ছে বসিরহাট নিয়েই। যেখানে মর্যাদার লড়াই জেতার জন্য চেষ্টার কিন্তু কসুর করেনি তৃণমূল। সারদা-কাণ্ডের ছায়ায় পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তারা সেখানে প্রার্থী করেছিল প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাসকে। তারকা হিসেবে তিনি সুবিধা পেয়েছেন, মতুয়া ভোটব্যাঙ্কের আশীর্বাদও পেয়েছেন। ফুটবলার হিসাবে মহমেডান স্পোর্টিংয়ে তাঁর খেলোয়াড়ি অতীতও বসিরহাটের মতো সংখ্যালঘু এলাকায় কিছুটা সুবিধা এনে দিয়েছে বলে তৃণমূলের একাংশের ধারণা। তার উপরে দীপেন্দু বসিরহাটেরই ভূমিপুত্র। বস্তুত, এমন এক জন প্রার্থী বেছে সম্ভাব্য সব রকম তাসই আস্তিনের তলা থেকে বার করেছিল শাসক দল। বসিরহাটের বিজয়ী বিজেপি প্রার্থী শমীকের কথায়, “একটা আসনে জেতার জন্য কী ভাবে নেতা-মন্ত্রী সমেত গোটা মেশিনারি নামিয়ে দিতে হয়, মাটি কামড়ে প্রচার চালাতে হয়, সেটা তৃণমূলের কাছ থেকে শেখা উচিত!” পাশাপাশিই বিরোধী শিবিরের এক নেতা এমনও বলছেন, “বসিরহাট দক্ষিণ আধা-শহুরে কেন্দ্র বলা যায়। গ্রামাঞ্চলে শাসক দলের পক্ষে মানুষকে নানা ভাবে প্রভাবিত করার সুযোগও বেশি। এত কিছুর পরেও ওই কেন্দ্রে বিজেপি জিততে পেরেছে। হয়তো সারদা-কাণ্ডের কিছু প্রভাব কাজ করেছে।”

যদিও এমন ব্যাখ্যা একেবারেই মানছেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের পাল্টা প্রশ্ন, সারদা-কাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব পড়লে শহুরে কেন্দ্র চৌরঙ্গিতে আরও বেশি করে তৃণমূল বিপদে পড়ত! উপনির্বাচনে সাফল্যের জন্য মমতার সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের উপরে মা-মাটি-মানুষের আস্থাকেই চিহ্নিত করেছেন তৃণমূলের প্রধান সেনাপতি মুকুল রায়। দু’বছর পরে বিধানসভা ভোটে বসিরহাট দক্ষিণ-সহ দুই-তৃতীয়াংশ আসন জিতে তাঁরা ক্ষমতায় ফিরবেন বলে আগাম দাবিও করেন তিনি। বসিরহাট দক্ষিণে ২০১৬-র নির্বাচনে দীপেন্দুকেই প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল।

মুকুল গোটা দেশের উপনির্বাচনের ফলাফল দেখিয়ে দাবি করেছেন, “১০০ দিনেই মোদী ম্যাজিক ফিকে হতে শুরু করেছে!” প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী মন্তব্য করেছেন, “এই উপনির্বাচনের ফল তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, বিজেপি-কে নিয়ে যে হইচই হচ্ছিল, সেটা পড়ে গেল! আবার তৃণমূলও সর্বশক্তি প্রয়োগ করেও বসিরহাট বার করতে পারল না।” তেমনই এই উপনির্বাচনের সাফল্যকে সংহত করে ২০১৬ সালেই রাজ্যে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখছে বিজেপি। কিন্তু তাঁদের ভোট তো বাড়েনি, বরং বসিরহাটে ব্যবধান কমে গিয়েছে? বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুলবাবুর ব্যাখ্যা, “বসিরহাটে ৬%-এর উপরে ভোট কম পড়েছে। কারণ, তৃণমূল ভোটারদের একাংশকে ভয় দেখিয়েছে। অনেকের সচিত্র পরিচয়পত্র তুলে নিয়ে গিয়েছে। আর একটি দলের সঙ্গে স্থানীয় ভাবে তৃণমূলের বোঝাপড়া হয়েছিল।” সিপিএম-কংগ্রেস, দু’দলই বোঝাপড়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।

চৌরঙ্গির ক্ষেত্রে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতির দাবি, “তৃণমূল নগ্ন সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করেছে! উর্দুভাষী সংখ্যালঘুরা এককাট্টা হয়ে ৪৪ এবং ৬২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। জামাতে ইসলামিকে দিয়ে সংখ্যালঘুদের ভুল বুঝিয়ে পুরো এলাকা জুড়ে ছক কষে তৃণমূল ভোট নিয়েছে!” তৃণমূলের তরফে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় যার পাল্টা বলেছেন, “বিভাজনের রাজনীতি আমরা করি না!” যদিও শাসক ও বিরোধী, দুই শিবিরেরই একাংশের বক্তব্য, চৌরঙ্গির হিন্দিভাষী ভোট ভাগাভাগি হয়েছে বিজেপির রীতেশ তিওয়ারি এবং কংগ্রেসের সন্তোষ পাঠকের মধ্যে। আর উর্দুভাষী সংখ্যালঘুদের ভোট বেশির ভাগটাই এককাট্টা হয়ে এসেছে তৃণমূলের ঝুলিতে। যার জেরে বাজিমাত করতে পেরেছে শাসক দল।

এখন প্রশ্ন, সারদা-কাণ্ড বা তৃণমূলের অপশাসনের জেরে বিজেপির পালে হাওয়া লাগতেই পারে। কিন্তু সংগঠনের জোর না থাকলে তার ফায়দা বিজেপি নেবে কী ভাবে? মোদীর নামে সব বৈতরণী পার হওয়া যাবে না, বিজেপি নেতারাও জানেন। তাঁদের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ সংগঠনে নজর দেওয়াই।

basirhat assembly byelection shamik bhattacharyay dipendu biswas mukul roy bjp tmc
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy