Advertisement
E-Paper

বিজেপি করাতেই হামলা, দাবি আক্রান্ত পরিবারের

মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মেয়ের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল পরিবার। থানা থেকে সেই অভিযোগ প্রত্যাহার না করায় ওই নাবালিকার বাবাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। এখানেই শেষ নয়। তার পরে পরিবারটিকে সামাজিক বয়কটের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে বুধবার বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ওই ছাত্রীর মা। তার জেরে বৃহস্পতিবার ওই মহিলাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৫ ০৩:৪১

মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মেয়ের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল পরিবার। থানা থেকে সেই অভিযোগ প্রত্যাহার না করায় ওই নাবালিকার বাবাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। এখানেই শেষ নয়। তার পরে পরিবারটিকে সামাজিক বয়কটের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে বুধবার বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ওই ছাত্রীর মা। তার জেরে বৃহস্পতিবার ওই মহিলাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল।

পরিবারটি বিজেপি সমর্থক। আর প্রতিটি ঘটনাতেই অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। ঘটনাস্থল, বীরভূমের ইলামবাজার, যেখানে গত লোকসভা ভোটের পর থেকে বিজেপির সঙ্গে শাসক দলের একের পরে এক সংঘর্ষ হয়েছে। ছাত্রীটির মায়ের অভিযোগ, ‘‘বিজেপি করলে এ ভাবেই নানা অত্যাচার সইতে হবে, সামাজিক বয়কট করা হবে বলে এলাকার তৃণমূল কর্মীরা হুমকি দিচ্ছে। বাধ্য হয়েই বিডিও-র দ্বারস্থ হয়েছিলাম।’’

আক্রান্ত পরিবারটি এ দিনই মারধরের অভিযোগ দায়ের করেছে ইলামবাজার থানায়। তৃণমূল সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছে। উল্টে, ওই থানাতেই পরিবারটির বিরুদ্ধে পাল্টা মারধরের অভিযোগ করেছেন তৃণমূল সমর্থক কিছু পড়শি। পুলিশের দাবি, মারধরের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আগের অভিযোগগুলির তদন্ত এখনও চলছে।

পুলিশ ও ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইচ্ছাকৃত বাড়ির সামনের নলকূপ অকেজো করে দেওয়া হয়েছে এবং তাঁদের সামাজিক ভাবে বয়কট করার চেষ্টা হচ্ছে দাবি করে বুধবার ইলামবাজারের বিডিও-র কাছে অভিযোগ জানায় শীর্ষা পঞ্চায়েতের ওই সংখ্যালঘু পরিবার। এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ অভিযোগের সরেজমিন তদন্তে যান ব্লক অফিসের কর্মীরা। পরিবারটির দাবি, সরকারি কর্মীদের সামনেই ছাত্রীটির শ্লীলতাহানি এবং তার বাবাকে মারধরে অভিযুক্তেরা হামলা করে। লাঠি, রড দিয়ে ওই ছাত্রী এবং তাঁর মাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

ছাত্রীটির মায়ের অভিযোগ, স্রেফ বিজেপি সমর্থক পরিবারের বলেই তাঁর মেয়ের উপরে অত্যাচার (গত মার্চে) করা হয়। থানা থেকে সে অভিযোগ প্রত্যাহার না করায় ১৮ মে আক্রান্ত হন তাঁর স্বামী। দিন পনেরো আগে এলাকার কিছু তৃণমূল সমর্থক বাড়ির সামনের নলকূপটি অকেজো করে তাঁদের হয়রানির মাত্রা বাড়ায়।

বিজেপির ইলামবাজার ব্লক পর্যবেক্ষক চিত্তরঞ্জন সিংহের ক্ষোভ, “তৃণমূল এবং তাদের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা অত্যাচার করলেও কোথাও অভিযোগ জানানো যাবে না। এই ফতোয়া না মানলেই মারধর করবে। অভিযুক্তেরা অধরা। পুলিশকে জানিয়ে লাভ হচ্ছে না।’’

স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকেরা অবশ্য মারধর বা সামাজিক বয়কটের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ মানেননি। তাঁদের দাবি, নলকূপ যান্ত্রিক কারণে বিগড়েছে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জাফারুল ইসলামেরও দাবি, “এটা একেবারে গ্রাম্য সমস্যা। ওই গ্রামে শুধু ওই পরিবারকেই কেন অন্য বাসিন্দারা দেখতে পারছেন না, খোঁজ নিলে স্পষ্ট হবে।”

ইলামবাজারের বিডিও উৎপল পাতসা বলেন, “সামাজিক বয়কট করার চেষ্টার অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করতে দফতরের লোকজন গিয়েছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে মনে হয়েছে অভিযোগটা ঠিক নয়।’’

কিন্তু ব্লক অফিসের কর্মীদের সামনেই পরিবারটিকে মারধর করা হয় বলেও তো অভিযোগ উঠেছে? এ বার বিডিও-র জবাব, ‘‘তেমন কিছু আমি শুনিনি। তবে ওই পরিবারটির বাড়ির সামনের নলকূপটি খারাপ ছিল। সেটা মেরামতের জন্য বলা হয়েছে।”

BJP Trinamool Illambazar BDO Birbhum Congress election
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy