বিপাকে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তাঁর প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদের ট্রাস্টের নামে দেওয়া টাকা চলে যাচ্ছে অন্য অ্যাকাউন্টে! অভিযোগ, কিউআর কোড নকল করেছে প্রতারকেরা। সেই কিউআর কোড স্ক্যান করে পাঠানো টাকা চলে যাচ্ছে প্রতারকদের কাছে। এমন অভিযোগ তুলে এ বার বহরমপুর সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হলেন হুমায়ুনের বাবরি মসজিদের ট্রাস্টের কোষাধ্যক্ষ মহম্মদ আমিনুল শেখ।
বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের শিল্যানাসের পরই ভক্তদের কাছে মসজিদ তৈরির জন্য অর্থসাহায্যের আবেদন করেছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক। শিলান্যাসের সভাস্থলেই দানবাক্স বসানো হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, অনলাইনেও টাকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছেন হুমায়ুন। বসিয়েছেন কিউআর কোডও। এ বার সেই কিউআর কোড নকল করার অভিযোগ উঠল।
বেলডাঙার বাবরি মসজিদ তৈরির জন্য ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ইসলামিক ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়া’ নামে একটি ট্রাস্ট তৈরি করা হয়েছে। সেই ট্রাস্টের কোষাধ্যক্ষ আমিনুলের দাবি, ট্রাস্টের তথ্য নকল করে ভুয়ো কিউআর কোড তৈরি করেছে প্রতারকেরা। আর তা ব্যবহার করে নাকি টাকাও তোলা হচ্ছে। বিষয়টি বহরমপুর সাইবার ক্রাইম থানায় জানাতেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
এর আগেও এক বার ‘প্রতারিত’ হয়েছেন হুমায়ুন। বেলডাঙায় মসজিদের শিলান্যাসের আগে আয়োজকেরা জানান, সৌদি থেকে আসছেন দুই ‘ক্কারী’। অভিযোগ, ওই দুই ধর্মগুরুর এক জন ক্কারী সুফিয়া মুর্শিদাবাদেরই দৌলতাবাদের বাসিন্দা। দ্বিতীয় জন, শেখ আবদুল্লা পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা। তার পরেই তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়েও বিভ্রাট দেখা দেয়। জানা যায়, হায়দরাবাদ থেকে যে আট জন নিরাপত্তারক্ষীকে এনেছিলেন বলে দাবি করেছিলেন হুমায়ুন, তাঁরা সকলেই কলকাতার! বিষয়টি নিয়ে হতাশা চেপে রাখেননি ভরতপুরের বিধায়ক। হুমায়ুনের অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে বিরাট ষড়যন্ত্র চলছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার প্রতারকদের ‘খপ্পরে’ পড়লেন বিধায়ক।