সন্দীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
দলের বৈঠক থেকে বাড়ি ফেরার পথে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায় গুলিতে খুন হলেন বিজেপি কর্মী। ঘটনায় আঙুল উঠেছে তৃণমূলের দিকে। সন্দীপ ঘোষ (২২) নামে দলের ওই বুথ সভাপতির খুনের পরে আজ, মঙ্গলবার দুর্গাপুর মহকুমায় ১২ ঘণ্টার বন্ধ ডেকেছে বিজেপি। তৃণমূল অভিযোগ মানেনি।
সন্দীপের সঙ্গী, হামলায় জখম জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় স্থানীয় বাসিন্দা শেখ সাইফুল-সহ ন’জনের নামে খুনের অভিযোগ করেছেন। সোমবার রাজ্য বিজেপির ‘টুইটে’ সাইফুলকে তৃণমূল আশ্রিত ‘মাফিয়া’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। নিহতের বাবা, মলানদিঘি পঞ্চায়েতের রূপগঞ্জের বাসিন্দা তথা এলাকার তৃণমূল নেতা বিজয় ঘোষের অভিযোগ, ‘‘১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূলে রয়েছি। শেষে ছেলেকে খুন হতে হল তৃণমূলের লোকের হাতেই!’’
রবিবার সন্ধ্যায় সরস্বতীগঞ্জ গ্রামে বৈঠক সেরে কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সন্দীপ-সহ আট জন চারটি মোটরবাইকে বাড়ির দিকে ফিরছিলেন। সন্দীপ যাঁর মোটরবাইকে ছিলেন, সেই তন্ময় করের দাবি, রাত ১০টা নাগাদ তাঁরা দেখেন, রাস্তায় কয়েকটি মোটরবাইক আড়াআড়ি ভাবে রাখা। লাঠি, রড, পিস্তল হাতে দাঁড়িয়ে জনা চল্লিশ। তারা তেড়ে আসে। পালাতে গেলে সন্দীপের ঘাড়ের বাঁ দিকে গুলি লাগে। পরে মলানদিঘি ফাঁড়ির সাহায্যে দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে সন্দীপকে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন ডাক্তারেরা।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, সরকারের কাছে রিপোর্ট তলবের জন্য রাজ্যপালকে অনুরোধ করেছেন তাঁরা। দলের জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের দাবি, ‘‘দলীয় সংগঠনে সন্দীপ গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন। তাই বালি-মাফিয়াকে দিয়ে ওঁকে খুন করাল তৃণমূল। পুরুলিয়ায় আমাদের কর্মী খুনের ঘটনার মতো এখানেও সিবিআই-তদন্ত চাইছি।’’ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল ঘটনাটি লঘু করতে চাইছে।’’ যদিও তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘মিথ্যা অভিযোগ। এটা বিজেপির অন্তর্কলহের ফল।’’
আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়না-তদন্তের পরে কোন পথ দিয়ে দেহ নিয়ে যাওয়া হবে, তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় বিজেপির। প্রতিবাদে হাসপাতালের সামনে দেহ রেখে পথ অবরোধ করা হয়। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা বলেন, ‘‘পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy