দেহরাদূনে মেয়ের সঙ্গে মায়ের শেষ বার কথা হয়েছিল গত ২৮ এপ্রিল। তার পরে বার বার ফোন করা হয়েছে। সেই সব ফোন ধরত মেয়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, এক পরিচিত যুবক। পরিবারের অভিযোগ, দুর্গাপুরের কাছে অণ্ডালের মেয়ে নিবেদিতা মুখোপাধ্যায় রাগ করে চলে গিয়েছেন, তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে কেঁদেকেটে মাস দেড়েকেরও বেশি তাঁদের কার্যত বোকা বানিয়ে রেখেছিল ওই যুবক।
কিছু একটা অঘটন যে ঘটেছে, ১৫ জুন নিবেদিতার জন্মদিনের পরেই তাঁর স্বজনেরা তার আঁচ পান। সড়কপথে দেহরাদূনে পৌঁছন তাঁরা। তার পরেই পুলিশের সাহায্যে রহস্যভেদ। ২৫ বছরের তরুণীকে খুন করে দেহ জ্বালিয়ে মসূরীর কাছে কিমারির পাহাড়ি খাদে ফেলে দেওয়া হয় বলে জানতে পেরেছে উত্তরাখণ্ডের পুলিশ। খুনের অভিযোগে সেই বন্ধু অঙ্কিত চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দেহরাদূনের রাজপুর থানার ইনস্পেক্টর তথা এই খুনের মামলার তদন্তকারী অফিসার রাকেশ শাহ বুধবার বলেন, “নিবেদিতার সঙ্গে ঝগড়ার জেরেই অঙ্কিত তাঁকে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দেয়। প্রমাণ লোপাট করতেই দেহটি পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে খাদে ফেলে দেওয়া হয়।” দেহরাদূনের এসএসপি যোগেন্দ্র সিংহ রাওয়ত শোকার্ত ও উদ্বিগ্ন পরিবারটির সঙ্গে কথা বলেই তদন্তের নির্দেশ দেন। খাদে দেহ ফেলার সময়ে অঙ্কিতের সঙ্গে থাকা এক বন্ধু এবং তার বাবাকে এখনও খুঁজছে পুলিশ।