Advertisement
E-Paper

তরুণীর বিবস্ত্র দেহ চা বাগানের নালায়

চা বাগানের নালার মধ্যে থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক তরুণীর বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, খুনের আগে তাঁকে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। মাথায় আঘাতের চিহ্নও রয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:৫৬

চা বাগানের নালার মধ্যে থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক তরুণীর বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, খুনের আগে তাঁকে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। মাথায় আঘাতের চিহ্নও রয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে দার্জিলিংগামী ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে শিলিগুড়ি লাগোয়া দাগাপুর চা বাগানের শ্রমিকেরা দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন। কিছুটা দূর থেকে তাঁর ছেঁড়া সালোয়ার কামিজ পাওয়া যায়। গলায় অন্তর্বাস দিয়ে ফাঁস দেওয়া ছিল। বিকেলে মেডিক্যাল কলেজে দেহের ময়নাতদন্ত হয়। পুলিশের ধারণা, সম্ভবত তাঁকে অন্য কোথাও খুন করে দেহটি পরে
নালায় নিয়ে গিয়ে ফেলা হয়। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা জানান, তরুণীর কাদের সঙ্গে মেলামেশা ছিল, তার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

বছর উনিশের তরুণীর বাড়ি ওই বাগান লাগোয়া ঢাকনিকাটা এলাকায়। বুধবার সকালে শালবাড়ি এলাকায় সেলাইয়ের কাজ শিখতে গিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে তাঁর সন্ধান মিলছিল না। রাতে বাড়ি ফেরেননি। সকাল ১০ টা নাগাদ খবর আসে তাঁর দেহ পাওয়া গিয়েছে। তরুণীর বাবা, কাকা এবং দাদা শিলিগুড়ি পুরসভার সাফাই কর্মী। মা দিনমজুরির কাজ করেন।

তাঁর দেহ উদ্ধারের খবর দ্রুত পুরসভায় ছড়িয়ে পড়ে। মেয়র অশোক ভট্টাচার্য সাফাই বিভাগের মেয়র পারিষদ মুকুল সেনগুপ্তকে ডেকে বিশদে খোঁজখবর নেন। নিহতের বাড়ি মুকুলবাবুর নিজের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড এবং চম্পাসারি গ্রাম পঞ্চায়েতের একেবারে সীমানায়। অশোকবাবু টেলিফোন করে পুলিশ কমিশনারকে দ্রুত দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘‘ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে আমাদের ধারণা। শিলিগুড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থার কী দশা, বোঝা যাচ্ছে।’’ মেয়র জানান, আজ, শুক্রবার এসজেডিএ-র সামনে তাঁদের অবস্থান আন্দোলন রয়েছে। সেখান থেকে তাঁরা পুলিশ কমিশনারের দফতরে যাবেন। প্রয়োজনে থানার সামনে অনশন আন্দোলন হবে।

পুলিশ জানিয়েছে, তিন বছর আগে ওই তরুণী পড়াশোনা ছেড়ে দেন। তার পরে বাড়িতেই থাকতেন। দু’মাস ধরে তিনি শালবাড়িতে সেলাই শিখতে যেতেন। তাঁর মা জানান, বুধবার সকালে তাঁর মেয়ে রোজকার মতো খেয়েদেয়ে বেরিয়েছিলেন। বাড়ি না ফেরায় তাঁরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘‘মেয়ের বন্ধুবান্ধব খুব একটা ছিল না। কোনও সম্পর্কের কথাও শুনিনি। কে আমার সর্বনাশ করল বুঝতে পারছি না!’’

siliguri Tea garden
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy