Advertisement
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
custodial death

‘এত মেরেছে যে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছিল না’, খুনের অভিযোগ করল লালনের পরিবার

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল ৪টে ৫০ মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয় লালনের। বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে বীরভূম জেলা পুলিশকে জানানো হয়। সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে ভিডিয়োগ্রাফি হয়।

রামপুরহাট হাসপাতালের সামনে লালন শেখের আত্মীয়রা।

রামপুরহাট হাসপাতালের সামনে লালন শেখের আত্মীয়রা। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:৩৬
Share: Save:

লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)-র দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছে তাঁর পরিবার। লালনকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। সোমবার লালনের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর আত্মীয়রা ভিড় করেছেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে।

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল ৪টে ৫০ মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয় লালনের। বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে বীরভূম জেলা পুলিশকে জানানো হয়। সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পেই ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়। লালনের মৃত্যুর খবর পেয়েই রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভিড় করেন লালনের আত্মীয়রা। শোকের ছায়া নামে এলাকায়। লালনের দিদি সামসুন্নাহার বিবি অভিযোগ করেন, ‘‘ওকে সিবিআই এত মেরেছিল যে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিল না। ওকে জল পর্যন্ত খেতে দেওয়া হয়নি। আমরা সিবিআইয়ের শাস্তি চাই।’’

লালন শেখের স্ত্রী অভিযোগ করেন, ‘‘আমার বাড়ি শেষ করে দিয়েছে সিবিআই। ভাদুর ভাইরা আমাদের ফাঁসিয়ে দিয়েছে। আমার স্বামীকে মেরে দিয়েছে সিবিআই। আমার সামনে আজকে মারল। আমাকেও মেরেছে সিবিআই।’’

দিন কয়েক আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল লালনকে। সিবিআই দাবি করে, বগটুই-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন। তিনি নিহত তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের ডান হাত ছিলেন। গত ২১ মার্চ রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে বোমা ছুড়ে দুষ্কৃতীরা খুন করে সেখানকার বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখকে। রাতে বগটুই গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তার জেরে ১০ জনের মৃত্যু হয়। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সেই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE