প্রতীকী ছবি।
যেন সেই ‘ন যযৌ ন তস্থৌ’ অবস্থা। অসমের গা-লাগানো কুমারগ্রাম, তুফানগঞ্জের গ্রামে সকাল থেকে বিজেপি কর্মীদের যে তৎপরতা দেখা যাচ্ছিল, হাইকোর্টের রায়ের কথা জানাজানি হওয়ার পরে বিকেল থেকেই তা ঝিমিয়ে পড়ে। কিন্তু এলাকা ছেড়ে কেউ ফিরেও যাচ্ছেন না। রাতে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থাও হয়েছে অনেক জায়গায়। তাঁরা অপেক্ষায় রয়েছেন, শুক্রবার সকালে কী হয়, তা জানার জন্য।
সকালে কিন্তু ছিল অন্য চিত্র। আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামে ব্যাগে পদ্ম আঁকা সবুজ গেরুয়া পতাকা নিয়ে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছিল সাইকেলে করে এসে ল্যাম্পপোস্ট, নানা দোকানের চালে তা বেঁধে দিতে। দু-একটি বাইকও দেখা গিয়েছিল, যার সামনে বিজেপির পতাকা বাঁধা। অসম নম্বরের একটি গাড়ি হুশ করে চলে গেল।
এখান থেকে অসম সীমানা মাত্র দু-কিলোমিটার। বিজেপির পতাকায় রাস্তার দু’পাশ সেজে উঠেছিল কুমারগ্রামে। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, অমিত শাহের সভা অসম থেকে লোক এনে ভরানোর পরিকল্পনা করেছে বিজেপি। অসম নম্বর প্লেটের গাড়ি কি লোক বোঝাই করে এনেছে? রে রে করে প্রতিবাদ জুড়লেন স্থানীয় বিজেপি নেতা। তাঁর জবাব, “কাছেই অসম। এখানে অনেক গাড়ি চলে যেগুলির অসম নম্বর। তাতে পতাকা লাগানো দেখা মানেই সে রাজ্য থেকে লোক আসছে, এমন নয়।” বিজেপি নেতার দবি, অসমে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার চলছে। সেখান থেকে কোনও কর্মী আনার প্রশ্নই ওঠে না।
সে যুক্তি মানতে রাজি নয় তৃণমূল। তাঁদের পাল্টা দাবি, অসম সীমানা থেকে রাস্তার দু’পাশে বিজেপির পতাকা আটকে পথ চিনিয়ে সোজা কোচবিহারে পৌঁছে দেওয়া হবে। রাস্তা চেনাতেই অসম লাগোয়া বারোবিসা, কুমারগ্রামে রাস্তার পাশে পাশে পতাকা লাগানো বলে দাবি।
শুক্রবার বিজেপির রথযাত্রা ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ে তুফানগঞ্জেও। বিকেলে কিন্তু এলাকা সুনসান। তবে শুক্রবার সকাল থেকে তৃণমূল যুবর ৩১ নম্বরে জাতীয় সড়কে মিছিল করবেন বলে জানিয়েছেন। ওই মিছিল এলাকা পরিক্রমা করবে। এ ভাবেই সকালে সভার দিকে বিজেপিকর্মীদের যাওয়া আটকে দেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছিল। তৃণমূল অবশ্য দাবি করেছে, বিজেপিকে রোখার জন্য নয়, নিজেদের কর্মসূচি মতোই তাঁরা মিছিল করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy