E-Paper

মমতা-শুভেন্দুর সভা ঘিরে সরগরম শিলিগুড়ি

আজ মঙ্গলবার কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী সভা করবেন এবং ‘কৃষকবন্ধু’র মতো প্রকল্পে চাষিদের টাকা বিলি করতে পারেন।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:৪৬
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।

যত কাণ্ড যেন শিলিগুড়িতে!

এক দিকে, আজ মঙ্গলবার কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী সভা করবেন এবং ‘কৃষকবন্ধু’র মতো প্রকল্পে চাষিদের টাকা বিলি করতে পারেন। অন্য দিকে, একই দিনে রেলের ভিআইপি রেস্ট হাউসে রয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাগরিক কনভেনশন, যেখানে তিনি উত্তরবঙ্গ নিয়ে রাজ্য সরকারের ‘মুখোশ খুলে দেবেন’ বলে দাবি করেছেন। এরই মধ্যে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের সভায় মাঠ নষ্ট হবে, এই দাবি তুলে সোমবার ধর্নায় বসতে যান শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। বিজেপির এই কর্মসূচি নিয়ে দিনভর টানাপড়েন চলে। একই দিনে শহরে মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতার সভা থাকায় চূড়ান্ত প্রশাসনিক তৎপরতা রয়েছে শিলিগুড়িতে। প্রশাসন সূত্রের খবর, সভা থেকে ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্প ছাড়াও চাষিদের জন্য প্রকল্প-ভিত্তিক টাকা বিলি করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। দেওয়া হবে চাষিদের ট্রাক্টর-সহ একাধিক সরঞ্জাম। ঘোষণা হতে পারে নতুন প্রকল্পেরও। শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সভা সেরে কলকাতা ফেরার কথা রয়েছে। একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা, শিলান্যাস এবং উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রী করবেন।’’

এই দিনই শুভেন্দুর কনভেনশন হচ্ছে এনজেপি এলাকায় রেলের ভিআইপি রেস্ট হাউসে। বিজেপি সূত্রে খবর, শহরের কাশ্মীর কলোনি এলাকায় রেলের সেই ভবনে পাঁচশো জনের মতো ভিড় হতে পারে। যদিও রেলের তরফে দাবি করা হয়েছে, তাদের সে ভবনে আড়াইশো জনের মতো বসার জায়গা রয়েছে। সোমবার সেখানে দলের কোনও প্রস্তুতি দেখা যায়নি। উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়কদের থাকার কথা। আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে উত্তরবঙ্গের প্রত্যেক জেলার কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিকে। কিন্তু তাঁদের ক’জন উপস্থিত থাকতে পারবেন তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।

এরই মধ্যে সোমবার বিকেল ৪টে থেকে শহরের হাশমিচকে ধর্নায় বসতে যান শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। রাতভর ধর্নায় বসার কথা ছিল তাঁর। পুলিশ বসতে দিতে চায়নি। আগে থেকেই প্রচুর পুলিশ ও জলকামান মোতায়েন করা হয়েছিল। কয়েক জন বিজেপি কর্মী এবং খেলোয়াড়কে নিয়ে হাশমিচকে বসতে গেলে বিধায়ককে বাধা দেয় পুলিশ। সেই দলে অবশ্য শুধু শঙ্কর নন, ছিলেন ময়নাগুড়ির বিধায়ক কৌশিক রায়। কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ ওরাওঁ, নাগরাকাটার পুনা বেঙড়া, গাজলের চিন্ময় দেব মর্মণ, গঙ্গারামপুরের সত্যেন্দ্রনাথ রায়েরা তখনও পৌঁছননি। এর পরে, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় বিজেপি কর্মীদের। আটক করে থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বিধায়ক এবং কর্মীদের। পরে অন্য বিধায়কেরাও আসেন ঘটনাস্থলে। তাঁদেরও আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রাত সওয়া ৯টা নাগাদ সব বিধায়ককে ছেড়ে দেওয়া হয়।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Mamata Banerjee Suvendu Adhikari Siliguri TMC BJP

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy