সাফাই: চলছে কাজ। নিজস্ব চিত্র
টাটা প্রকল্প এলাকায় কারখানার ভেঙে ফেলা স্ক্র্যাপ অবশেষে সরানো শুরু হল সিঙ্গুরে।
রাজ্য শিল্প উন্নয়ন নিগমের তরফে ওই স্ক্র্যাপের টেন্ডারের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে সম্প্রতি। তারপরই মুম্বইয়ের একটি সংস্থার তরফে দুর্গাপুর এক্সপ্রেস লাগোয়া চত্ত্বরে ডাঁই করে রাখা স্ক্র্যাপ সরানোর কাজে হাত দেওয়া হয়। প্রশাসনের এক কর্তা জানান, স্ক্র্যাপ সরানোর জন্য ওই সংস্থাকে সর্বাধিক তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছে।
টাটা প্রকল্পের ছোট-বড় মোট ১১টি শেডের প্রচুর স্ক্র্যাপ নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। প্রশাসন রীতিমত নাস্তানাবুদ হয়। ওই স্ক্র্যাপের মালিকানা কার হাতে বর্তাবে, তা নিয়ে বিভ্রান্তি কম ছিল না প্রশাসনিক মহলে। কারণ, টাটারা কারখানার জন্য শেড তৈরি করেছিল। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে রাজ্য সরকারের উপর দায়িত্ব বর্তায় ওই জমি পুরনো অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার। কিন্তু ভেঙে ফেলার পর শেডের অংশ নিতে আগ্রহ দেখায়নি কোনও পক্ষই। ওই বিপুল পরিমাণ স্ক্র্যাপ কোথায় রাখা হবে বা তার ভবিষ্যৎ নিয়ে বিপাকে পড়ে রাজ্য।
যেহেতু দুর্গাপুর এক্সপ্রেস লাগোয়া জমিতে ওই স্ক্র্যাপ রাখা হয়েছিল তাই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফেও চাপ ছিল তা দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার। কারণ অনেক স্ক্র্যাপ জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের জমিতেও পড়েছিল। পাশাপাশি চলছিল চুরিও। অনেক সময় রাস্তার পাশে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাতে লোহা চুরির অভিযোগ উঠছিল। কারণ খোলা বাজারে স্ক্র্যাপের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। প্রশাসনের তরফে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয় নজরদারির। চুরি ঠেকাতে টিনের ব্যারিকেডও তৈরি করা হয়।
এরপর টেন্ডার শুরু হয়। অবশেষে মুম্বইয়ের একটি সংস্থার সঙ্গে রফা হয়। তারাই কাজ করছে। আপাতত চারটি ক্রেনে করে লোহা তুলে ছয় থেকে আটটি গাড়িতে স্ক্র্যাপ বোঝাই করা হচ্ছে। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার আদালতের নির্দেশে সিঙ্গুরে কাজ করছে। তাই আদালতকে সমস্ত বিষয়ে অবহিত করেই সেখানে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy