Advertisement
E-Paper

শুক্রবার থেকেই রাজ্যে নামছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

লোকসভা ভোটে এ রাজ্যের জন্য মোট কত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী কাজে লাগানো হবে, তা সোমবার রাত পর্যন্ত নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি নির্বাচন কমিশনের সূত্র।

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ  ও শুভাশিস ঘটক

শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৯ ০২:৩৪

নির্বাচন ঘোষণার পাঁচ দিনের মধ্যেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামতে চলেছে। সোমবার কমিশন সূত্রের খবর, আগামী শুক্রবার রাজ্যে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ১০টি কোম্পানি পৌঁছচ্ছে। তাদের উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান এবং কলকাতায় মোতায়েন করা হবে। ওই বাহিনী এলাকায় টহলদারি করবে।

লোকসভা ভোটে এ রাজ্যের জন্য মোট কত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী কাজে লাগানো হবে, তা সোমবার রাত পর্যন্ত নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি নির্বাচন কমিশনের সূত্র। তবে কমিশনের এক কর্তা এ দিন বলেন, ‘‘এটি বাহিনীর প্রথম দফা। ধাপে ধাপে আরও বাহিনী আসবে।’’

কমিশনের খবর, প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী এবং কুলতলি, মুর্শিদাবাদের মালদহ লাগোয়া এলাকা, বিহার লাগোয়া মালদহ, ওড়িশা লাগোয়া পূর্ব মেদিনীপুর, দুমকা লাগোয়া বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল এবং কলকাতায় এক কোম্পানি করে বাহিনী মোতায়েন করা হবে। কমিশন সূত্রের মতে, এই এলাকাগুলিতে আগে গোষ্ঠীসংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং ভোটারদের মনোবল জোগানোর কাজ করবেন জওয়ানেরা।

এ রাজ্যে ২০১৪-র নির্বাচন নিয়ে এগুলো জানেন?

কমিশন সূত্রের খবর, টহলদারি যাতে ঠিক মতো হয়, তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশকর্তাদের তা ভিডিয়ো করে রাখতে বলা হয়েছে। এর আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যথাযথ ভাবে ব্যবহার না-করার অভিযোগ উঠেছে। তার ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন কমিশনের একাংশ।

আরও পড়ুন: চেনা মুখই কি ভরসা তৃণমূলের, মমতার বাড়িতে আজ দলের নির্বাচনী কমিটির বৈঠক

কমিশনের খবর, মালদহ এবং বারাসত পুলিশ জেলায় এখনও পর্যন্ত কোনও জনপদকে গোলমালপ্রবণ বলে চিহ্নিত করার কাজ শেষ হয়নি। বসিরহাট, সুন্দরবন পুলিশ জেলা এবং পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, হাওড়া, আসানসোল এবং চন্দননগর কমিশনারেটে গোলমালপ্রবণ এলাকা এবং হাঙ্গামাকারীদের সংখ্যা নিয়ে কমিশন নিঃসন্দেহ হতে পারেনি। বিরোধীরা আগে থেকেই দাবি করেছিলেন, ভয়ের পরিবেশ রুখতে দ্রুত কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে এলাকায় টহলদারি শুরু করতে হবে। রাজ্য পুলিশের কর্তারা যাতে যথাযথ ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করেন তা-ও নিশ্চিত করতে আর্জি জানানো হয়। সেটাই কি মেনে নিল কমিশন? এক কর্তার বক্তব্য, অবাধ ভোটের স্বার্থে নানা পদক্ষেপ করা হচ্ছে। বাহিনীর টহলদারি তারই অঙ্গ।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাহিনী বেশি দেওয়ার পিছনে পঞ্চায়েত ভোটের সংঘর্ষকে অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন অনেকে।

লোকসভা ভোট ২০১৯ BSF Border Security Force West Bengal Lok Sabha Election 2019
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy