ফের গুলি চলল বেহালায়। রবিবার গভীর রাতে বেহালায় তৃণমূলের এক ওয়ার্ড সভাপতির বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। বেহালা পূর্ব বিধানসভার অন্তর্গত কলকাতা পুরসভার ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি রূপক গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। রূপকের বাড়িবেহালার জেমস লং সরণিতে। রবিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ আচমকাই গুলির শব্দ শুনতে পান রূপকবাবুর স্ত্রী স্বাতী। শোনা মাত্রই বিষয়টি তাঁর স্বামীকে জানান তিনি। পরে আরও তিন রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ গঙ্গোপাধ্যায় দম্পতির। কিছুক্ষণ পরে রাস্তায় বেরিয়ে রূপক দেখতে পান, তাঁকে দেখা মাত্রই দু’টি মোটরবাইকে সওয়ার কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয়ের যুবক দ্রুত গতিতে বেরিয়ে যাচ্ছেন।
ফিরে দেখতে পান বাড়ির দোতলার জানলার কাঁচ ভেঙে পড়েছে। রাতে কাউকে কিছু না জানালেও, সকাল হতেই রূপক ফোনে বিষয়টি জানান বেহালা থানা কর্তৃপক্ষকে।দ্রুতই তাঁর জেমস লং সরণির বাড়িতে আসে পুলিশবাহিনী। ভেঙে পড়া জানলা দেখতে গিয়ে বুলেটের দু’টি খোলও উদ্ধার করে পুলিশ। বেহালা থানা সূত্রে খবর, রূপকবাবুর বাড়ির জানলা লক্ষ্য করেই গুলি চালানো হয়েছিল। গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। প্রসঙ্গত, ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পরে ১২১ নম্বর ওয়ার্ডে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল।সেই ওয়ার্ডেই ফের গুলি চালানোর ঘটনা ঘটল।
থানায় অভিযোগ দায়ের করার পাশাপাশি, তিনি গুলি চালনার ঘটনার কথা জানিয়েছেন দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়, বেহালা পূর্বের বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়, দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস কুমারকে। নিজের বাড়ি আক্রান্ত হলেও, এমন আক্রমণকে রাজনৈতিক রং দিতে নারাজ ওয়ার্ড তৃণমূল সভাপতি রূপক। তাঁর কথায়, ‘‘আমি ওয়ার্ড সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর ওয়ার্ডে তোলাবাজি বন্ধ করে দিয়েছি। হয়তো দুষ্কৃতীদের অসুবিধা হচ্ছে। তাই আমার বাড়িতে এই ধরনের হামলা হয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, রূপক ও তাঁর স্ত্রী ছাড়া গুলি চালনার ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন তাঁর দুই কন্যাও। তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রূপক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy