ভাঙড় থানার সামনে ভিড় জমিয়েছেন সাধারণ মানুষ। —নিজস্ব চিত্র।
গভীর রাতে ভাঙড়ে গয়নার দোকানে ডাকাতির চেষ্টা করল একদল দুষ্কৃতী। তা রুখতে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ হারালেন এক নিরাপত্তা রক্ষী। বাধা দিতে গিয়ে ডাকাতদের হাতে মার খেল পুলিশও। ১০-১৫ জনের ওই ডাকাতদলের মধ্য থেকে এখনও পর্যন্ত এক জনকেই গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
পূলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাত দেড়টা-২টো নাগাদ ভাঙড় থানার অন্তর্গত হাড়োয়ার সোনাপট্টি এলাকায় একটি গয়নার দোকানের শাটার ভাঙার চেষ্টা করে ১০-১৫ জন দুষ্কৃতীর একটি দল। করাত দিয়ে তালা কেটে দোকানে ঢোকার চেষ্টা করছিল তারা। রাস্তায় টহলরত নিরাপত্তারক্ষী, এক কনস্টেবল এবং পুলিশের এক কর্মীর নজরে পড়ে বিষয়টি। ওই দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে যান তাঁরা।
দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। তখনই সৈয়দ আলি মোল্লা (৬০) নামের ওই নিরাপত্তারক্ষীর মাথায় রড দিয়ে আঘাত করে দুষ্কৃতীরা। খবর পেয়ে তত ক্ষণে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশের একটি দল। তাদের দেখে মোটরবাইকে চেপে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। তাদের ধাওয়া করে বেশ কিছু দূর গেলেও, দুষ্কৃতীদের নাগাল পায়নি পুলিশ। দ্রুতগতিতে বড়জুলি হয়ে আটপুকুরের দিকে মিলিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
আরও পড়ুন: আমদাবাদ পৌঁছলেন মোদী, হিন্দিতে টুইট ট্রাম্পের
আরও পড়ুন: বাণিজ্য না-হোক, ট্রাম্পের সফরে সুসম্পর্কেই জোর
এ পর রাতেই দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। রাতভর খোঁজাখুঁজির পর সোমবার সকালে এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা গিয়েছে। অভিযুক্ত ওই ডাকাতদলে শামিল ছিল বলে দাবি পুলিশের। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ভাঙড় এলাকায় অন্যান্য ডাকাতির ঘটনায় এই দলটি যুক্ত কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ডাকাতদের হাতে মার খাওয়ার অভিযোগ যদিও অস্বীকার করেছে পুলিশ, তবে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে সোনাপট্টি এলাকায়। নিরাপত্তার দাবিতে ভাঙড় থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান একদল মানুষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy