চতুর্থীর দিনেই নতুন টালা সেতুতে চলবে বাস। ফাইল চিত্র
চতুর্থীর দিন থেকেই টালা সেতুতে চালানো যাবে বাস। এমনটাই জানানো হয়েছে রাজ্য পূর্ত দফতরের তরফে। ২২ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেতুটির উদ্বোধন করেন। নতুন সেতু খুলে গেলেও, ওই দিন থেকে তাতে যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। উদ্বোধনের ৪৮ ঘণ্টা পর শনিবার সকাল থেকে টালা সেতুতে ছোট গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয় প্রশাসন। এ বার ২৯ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ চতুর্থীর দিন থেকে টালা সেতুতে বাস চলাচলের ছাড়পত্র দেওয়া হল। পূর্ত দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, পুজোর পর থেকে নবনির্মিত টালা সেতুতে অন্যান্য ভারী যান চলাচল করতে পারবে।
এখন টালা সেতু দিয়ে বাইক, স্কুটার, প্রাইভেট গাড়ি, অ্যাপ ক্যাব ট্যাক্সি যাতায়াত করতে শুরু করেছে। তবে বড় গাড়ি ও বাসের সেখানে ওঠার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল। পূর্ব নির্ধারিত রুট দিয়েই তাদের যাতায়াত করতে বলা হয়। টালা সেতু উদ্বোধনের আগে থেকেই পূর্ত দফতরের তরফে জানানো হয়েছিল, কিছু দিন পর থেকে বাস চালানো হবে। তবে সেই প্রতীক্ষার অবসান হবে কবে, তা নিয়ে শহর ও শহরতলির বাসিন্দাদের মধ্যে ধন্দ তৈরি হয়। প্রাথমিক ভাবে কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, পুজোর আগে টালা সেতুতে বাস চলাচলে ছাড়পত্র দেওয়া হবে না। কিন্তু পূর্ত দফতরের এক আধিকারিক বলেছেন, ‘‘আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর থেকেই বাস চলাচল করতে পারবে নবনির্মিত চার লেনের সেতুতে। এর ফলে উত্তর কলকাতার পুজো উৎসবে সামিল হতে আরও সুবিধা হবে কলকাতা-সহ শহরতলির বাসিন্দাদের। তার আগে যাবতীয় প্রস্তুতি আমরা সেরে ফেলব।’’
উল্লেখ্য, টালা সেতুর উদ্বোধনের দিন দশেক আগে বাস মালিকদের সংগঠন পরিবহণ দফতরের কাছে উদ্বোধনের পরে এই সেতুতে বাস চালানোর অনুমতির জন্য আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু তাদের আবেদন গ্রহণ করা হয়নি। আপাতত সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসেসের সাধারণ সম্পাদক টিটো সাহা বলেন, ‘‘টালা সেতু খুলে যাওয়াকে আমরা স্বাগত জানাই। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ফলে আমাদের হয়রানির অবসান হল। যাত্রীস্বার্থে বাস পরিষেবার উন্নতি হবে। পুজোর সময় সাধারণ মানুষের ঠাকুর দেখতেও সুবিধা হবে।’’ প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে টালা সেতু ভাঙার কাজ শুরু হয়। ওই বছরের এপ্রিলে শেষ হয় সেই কাজ। তার পর সেতু সংস্কার শুরু হয়। টালা সেতুর সংস্কারের জন্য মোট ৪৬৫.১১ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ৭৪৩.৪৩ মিটার দীর্ঘ টালা সেতু প্রায় আড়াই বছর পর ফিরে পেল শহর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy