কলকাতা পুরসভার মালিকানায় থাকা রক্সি বিল্ডিংয়ের ১১ হাজার বর্গফুট এলাকা একটি সংস্থাকে লিজ দেওয়া নিয়ে আগেই আপত্তি তুলেছিলেন পুর অফিসারেরা। এ বার তা আরও উস্কে দিল কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)-এর চিঠি। ৩১ জুলাই চিঠি দিয়ে পুরসভার কাছে রক্সি সংক্রান্ত ফাইলপত্র চাইল সিএজি। চিঠি পেয়ে অস্বস্তিতে পুর প্রশাসন।
অস্বস্তি কেন? ৪এ এবং ৪বি চৌরঙ্গী প্লেস ঠিকানার রক্সি বিল্ডিং ৯৯ বছরের লিজ-চুক্তিতে ছিল বেঙ্গল প্রপার্টিজ লিমিটেড নামে সংস্থার দখলে। চুক্তি শেষ হয়েছে ২০০৭-০৮ সালে। কিন্তু তার পরেও দখল ছাড়েনি বেঙ্গল প্রপার্টিজ। পুরসভা জানায়, ফের ৯৯ বছরের জন্য লিজ নিতে হলে ওই সংস্থাকে ৭১ কোটি ৩৪ লক্ষ ১১ হাজার টাকা দিতে হবে। সংস্থাটি নারাজ হলে মামলা করে পুরসভা। গত অগস্টে হাইকোর্ট বলে, ওই সংস্থা পুরো টাকা দিয়ে ফের লিজ নিতে পারে। না হলে দখল নিক পুরসভা।
টাকা দিতে না পারায় রক্সি বিল্ডিং হাতছাড়া হয় বেঙ্গল প্রপার্টিজের। শুভলাভ ডিলার প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তিতে আগ্রহ দেখায় পুরবোর্ড। সংস্থাটির রেজিস্টার্ড ঠিকানা, ১৩৯ডি/৩ মহারাণী ইন্দিরাদেবী রোড, পর্ণশ্রী, বেহালা (পুরসভার নথিতে অবশ্য ২২/২ মহারাণী ইন্দিরাদেবী রোড লেখা)। সংস্থার জন্ম ২০১১-য়। পুরসভার একাংশের অভিযোগ, শুভলাভ সংস্থার মাথায় পুরবোর্ডের এক কর্তার ‘হাত’ থাকায় মেয়র পারিষদ নতুন লিজ-চুক্তি অনুমোদন করে। কিন্তু দেখা যায়, শুভলাভ সংস্থার অস্তিত্বই নেই। প্রশ্ন ওঠে, আদালতের নির্দেশে রক্সি পুরসভার হাতে এসেছে। ওই বাড়িতে যে সব সংস্থা আগে থেকে রয়েছে, তাঁদের নতুন করে ভাড়া দেওয়ার কথা ভাবতে পারে পুরসভা। কেন অস্তিত্বহীন একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? এর পরেই চুক্তির সিদ্ধান্ত ‘ড্রপ’ করা হচ্ছে বলে জানান মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।
কিন্তু ২৭ জুলাই মেয়র পরিষদের বৈঠকে ফের শুভলাভকে রক্সি পাইয়ে দিতে প্রস্তাব পেশের চেষ্টা হয়। ফের আপত্তি তোলেন অফিসারেরা। এর মধ্যে ক্যাগের চিঠি পৌঁছতেই তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। সূত্রের খবর, সিএজি ৮টি বিষয়ে জবাব চেয়েছে। যেমন, রক্সি কার সঙ্গে, কত দিন লিজে ছিল, কত টাকা পুরসভার আয় হয়েছে ইত্যাদি। মেয়রকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অবশ্য তিনি বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy